বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
মঙ্গলবার বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে সূর্যবাবু বলেছিলেন, লং মার্চ, এনআরসি-সিএএ ইস্যুতে মিছিল-মিটিং এবং সবশেষে সাধারণ ধর্মঘট—এই সব কর্মসূচিতেই ধারাবাহিকভাবে রাজ্যের মানুষের ভালো সাড়া মিলেছে। ধর্মঘটে সব জেলার জনজীবনই প্রায় স্তব্ধ ছিল এবং শহরের সঙ্গে কৃষক সংগঠনগুলির তৎপরতায় গ্রামবাংলাও অচল ছিল। কিন্তু এই সাফল্য সত্ত্বেও সত্ত্বেও এখনও রাজ্যে রাজনৈতিক ভারসাম্যে বদল ঘটানো সম্ভব হয়নি। এখনও তৃণমূল ও বিজেপি এই ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণকারী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। এই অবস্থার বদল ঘটাতে হলে রাস্তায় নেমে করা এই আন্দোলনের কেবল ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই নয়, তার তীব্রতাও আরও বাড়াতে হবে। নেতৃত্বের সেই উপলব্ধির পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন দলের সামনে কর্মসূচির বন্যা বইয়ে দেওয়ার রুটিন ফেলে দেন রাজ্য সম্পাদক।
সূর্যবাবুর জবাবি ভাষণের কথায়, শহরের পাশাপাশি জেলায় আন্দোলন কর্মসূচির সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। একেবার পুরসভা ও পঞ্চায়েত স্তরে তাকে নিয়ে যেতে হবে। আর তা করলে মানুষের কাছে বামপন্থীদের গ্রহণযোগ্যতা ফের পুরনো জায়গায় ফেরানো সম্ভব হবে।
রাজ্য কমিটির বৈঠকে এবার হাজির ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। জাতীয় রাজনীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি সিএএ বিরোধিতায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠক বয়কট করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। রাজ্য কমিটিকে তিনি নিদান দেন, মমতার এই দ্বিচারিতার বিষয়টিও এবার সমান গুরুত্ব দিয়ে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।