পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
গত ২০ মে, পঞ্চম দফার নির্বাচনের দিনে বাগদার মালিদায় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক জখম হন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। শনিবার সেই জখম কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে বাগদায় যান বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি রীতিমতো হুমকির সুরে বলেন, ‘এখানকার তৃণমূলকে বলতে চাই, ৪ তারিখ রেজাল্টের পর তৈরি থাকবেন। যতটুকু মার দিয়েছেন, সুদসমেত সব ফেরত পাবেন। সকলেরই হাত-পা আছে।’ প্রার্থীর সুরে সুর মিলিয়েছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডলও। এ বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের প্রতিক্রিয়া, ‘বিজেপির হার নিশ্চিত। বাগদার মানুষ ওদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেবে।’
একই ‘হুমকি’ শোনা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায়। এদিন তিনি ডায়মন্ডহারবার লোকসভার সাতগাছিয়াতে ৫ নম্বর মণ্ডলের কার্যকর্তা ও মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি তৃণমূলকে ‘পাল্টা মার’-এর নিদান দেন। ডায়মন্ডহারবারে প্রচার সহ ভোটের কাজ করতে গেলে তৃণমূলের সন্ত্রাসের শিকার হতে হচ্ছে বলে সুকান্তবাবুর কাছে নালিশ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতাকর্মীরা। তখন তাঁদের অভয় দিতে গিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, ‘ভয়টা আপনাদের মনের ভিতর ও মাথায় ঢুকে গিয়েছে। এটা মন থেকে আপনাদের তাড়াতে হবে এবার। তৃণমূলের হাতে আর কত মার খাবেন! মারও খাচ্ছেন, মিথ্যা কেসে জেল খাটতে হচ্ছে। এবার পাল্টা ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। তৃণমূলের ভুইফোঁড় যেসব নেতা ও তাঁর অনুগতরা আপনাদের উপর চড়াও হচ্ছে, তাতে আপনাদের যেমন লাগছে, সেটাই বুঝিয়ে ওদের বুঝিয়ে দিতে হবে বলপ্রয়োগ করে। ওরা মারছে। আপনারাও মারুন।’ আরও বলেন, ‘কোনও ভয় নেই। কী হবে? মাথা ফাটবে, কেস দেবে? তারপর জেল হবে। এমনিতেই তো জেল খাটতে হচ্ছে। মেরে জেল খাটুন। আপনাদের পাশে সভাপতি হিসেবে এই সুকান্ত মজুমদার থাকবে। আমি জামিন করাব। যদি জামিন না হয়, তাহলে এই বীরদের বাড়িতে প্রতি মাসে এক কুইন্টাল চাল দল থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’ দুই বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্য ভোটের গরম বাজারে আরও উত্তেজনার রসদ জোগাল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।