পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মিছিলস্থলে পৌঁছন সন্ধ্যা পৌনে ছ’টা নাগাদ। তারপর কালো রঙের হুড খোলা গাড়িতে রোড শো শুরু করেন। হাজার হাজার যুবক, যুবতী, প্রবীণ যোগ দেন মিছিলে। একাধিক জায়গা থেকে মিছিল করে এসেছিল মানুষ। ট্যাবলো ছিল মিছিলে। চড়িয়াল সেতু সড়কের কাছে জমায়েত ছিল। মিছিলে কোথাও ধামসা মাদল বেজেছে। কোথাও ঢাক। কোনও মিছিল থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কোনও মিছিলে বাউল নৃত্য, কোনও মিছিলের আগে ছিল ব্যান্ড। কোথাও বক্স বাজিয়ে জয় বাংলা ও বিজেপি বিসর্জনের ধ্বনি শোনা গিয়েছে। বহু মহিলা জোড়া ফুল আঁকা ছাতা মাথায়, রঙিন বেলুন উড়িয়ে হাজির হন। বজবজ থেকে পুজালী রাস্তার ধারে একাধিক জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছিল। সেখানে সরাসরি রোড শো দেখানোর ব্যবস্থা ছিল। রোড শো’র কারণে গোটা পথ ভিড়ে ডুবে গিয়েছিল। সন্ধ্যার পর দোকান বাজারেও লোক ছিল না।
অভিষেকবাবুকে ঘিরে ছিল নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। তবে মানুষের ঢল তাঁর গাড়ির পিছনে পায়ে পায়ে নেচে গান গেয়ে তিন কিলোমিটার হেঁটেছে। এই উৎসাহ তাঁকে মুগ্ধ করেছে। বারবার সে কথা বলেছেন অভিষেক। গরমে ঘামে ভিজে গিয়েছিল তাঁর সাদা জামা। টাওয়াল দিয়ে বারবার চশমা খুলে মুছতে দেখা গিয়েছে। গোটা রাস্তা হাসিমুখে সম্ভাষণ জানিয়েছেন মানুষকে। গোলাপ ফুল ছড়িয়েছেন। হাত নেড়েছেন। কখনও হাতজোড় করে নমস্কার করেছেন। মন্দির দেখে প্রণামও সেরেছেন। সাড়ে সাতটা নাগাদ পুজালীতে শেষে হয় রোড শো। তিনি সেখানে বক্তব্য রাখার সময় মিছিলে থাকা দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। বক্তব্য থামিয়ে দ্রুত রোগীদের কাছে পৌঁছে যান তৃণমূল প্রার্থী। তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেন। তাঁর ভূমিকায় আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে উপস্থিত জনতা। অভিষেকের বক্তৃতা শেষে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে একপ্রকার হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মানুষের মধ্যে। প্রবীণরা দূর থেকে আশীর্বাদ করেন প্রার্থীকে।