পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
বিজেপির ভোটপ্রাপ্তি নিয়ে এই প্রশ্ন ওঠার পিছনে অবশ্য একাধিক কারণ রয়েছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি এমনিতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। তারপর বেশ কিছুদিন দেরি করার পর অবশেষে যাঁকে এখানে প্রার্থী করেছে পদ্মফুল শিবির, তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরেই যথেষ্ট ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে বলে খবর। ফলতার দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা সহদেব সামন্ত, ফতেপুরের শর্মিষ্ঠা দে, সাতগাছিয়ার দেবেন্দ্র মণ্ডল, বজবজের সুভাষ দাস বা মহেশতলার বিকাশ মাইতিরা বলছেন, এখানে বিজেপির অন্যতম সমস্যা হল প্রার্থী নিয়ে কোন্দল। ২০১৪ সালে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎবাবু পেয়েছিলেন ২ লক্ষ ৮৮৫ ভোট। তিনি তৃতীয় স্থানে ছিলেন। সেই জায়গায় তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৪৮১ ভোট পেয়ে প্রথম এবং সিপিএম প্রার্থী ডাঃ আবুল হাসনাত ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন। সেই অভিজিৎবাবুকেই ফের প্রার্থী করায় প্রথম থেকেই স্থানীয় বিজেপির মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। এমনকী, দলের বিক্ষুদ্ধ অংশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে প্রার্থী বদলের দাবি করে। যদিও নেতৃত্ব তা কানে তোলেনি। সহদেববাবু বলেন, ‘এসব কারণে সর্বত্র পুরনো বিজেপি কর্মীরা বেশিরভাগই বসে গিয়েছেন। তাই এবার বিজেপির ভোট কমে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। বরং সিপিএম এবার অনেকটাই ভোট বাড়াতে পারে।’
কয়েকজন বললেন, বিজেপি পাঁচটি বিধানসভার অনেক জায়গায় এখনও বুথে বসানোর এজেন্ট খুঁজে পায়নি। ফলে ভোট বাড়ার কোনও জায়গা নেই। এই দাবির সঙ্গে একেবারেই সহমত নন বিজেপির ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক দেবাংশু পন্ডা ও সাধারণ সম্পাদক দীপক হালদার। তাঁদের দাবি, দল একজোট হয়ে নেমেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভোট প্রচারে আসছেন পরপর। ফলে বিজেপি এক নম্বরে পৌঁছে যাবে। তবে ভোটের দিন সন্ত্রাস হলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।