পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
পুলিস ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। চাপদানির বাসিন্দা মহম্মদ সেলিম এবং আখতার আলি এবং তরুণ দে নামে আরও এক রোগী পরিজনের সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে। চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ভর্তি ছিলেন। তাই বাইরে রাত কাটাচ্ছিলেন সেলিম এবং আক্তার। তখন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁদের ঠান্ডা পানীয় ‘অফার’ করে। সেই পানীয় খাওয়ার পরেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন দু’জনে। সকালে পরিবারের লোকজন ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে খোঁজখবর শুরু করেন। তারপরে হাসপাতাল চত্বরেও তাঁদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দেখা যায়, তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল এবং টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে ওই দুষ্কৃতী। একই ঘটনা ঘটেছে তরুণবাবুর সঙ্গেও। ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনিও। সকালে জ্ঞান ফেরার পর খেয়াল করেন, সঙ্গের প্রায় সাত হাজার টাকা উধাও।
এ ধরনের ঘটনা বার কয়েক ঘটেছে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেই ঘটনার তদন্তে তিনজন গ্রেপ্তারও হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে মাদক খাইয়ে লুট ঠেকানো যায়নি, তার প্রমাণ এই ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল সুপার সন্তু ঘোষ বলেন, রোগী পরিজনদের থাকার নির্দিষ্ট জায়গায় রাত্রিযাপন বাঞ্ছনীয়। অপরিচিত কেউ খাবার বা পানীয় দিলে তা খাওয়া উচিত নয়। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা গোপাল চৌবে বলেন, রাজ্যে এখন নিরাপত্তার এই অবস্থা। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে মেয়র পারিষদ শুভজিৎ সাউ বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতি জড়ানো উচিত নয়। হাসপাতালে পুলিস থাকে। একটু সচেতনতা অবলম্বন করলেই এই ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব।