কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
বিভিন্ন ব্যাপারে ক্ষুব্ধ ওই হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা আগস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সমাধানস সূত্র না মেলায় দিন কুড়ি পর থেকে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে শুরু করে। তাঁরা অনশন ও ধর্না আন্দোলন শুরু করেন। এই প্রেক্ষাপটে মামলাকারী নন্দলাল তিওয়ারি সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি নিয়ে মামলাটি করেন। তাঁর বক্তব্য, সেখানকার ইন্টার্নদের একাংশ ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে ভর্তি থাকা ও চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা ধারাবাহিকভাবে সমস্যায় পড়ছেন। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা অন্যান্য দাবি নিয়ে আলাপ আলোচনায় রাজি হলেও সেখানকার অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে অনড় থাকায় অচলাবস্থা তৈরি হয়।
এদিনের শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, হাসপাতালের কর্মী ও সাধারণ মানুষ হাসপাতালে ঢুকতে ও বেরতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। এমনভাবে বিক্ষোভ চলছে যে, হাসপাতালের মেডিক্যাল পরিষেবাই বিঘ্নিত হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা জনস্বার্থের ক্ষতি করছেন। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের তরফে আদালতকে ২৩ অক্টোবরে লেখা একটি নথি দেখানো ও পেশ করা হয়। নথিতে লেখা প্রতিশ্রুতি তাঁরা মেনে চলবেন বলে আদালতকে জানানো হয়। এই অচলাবস্থা কাটানোর জন্য স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে আন্দেলনকারীদের দেখা করতে দেওয়া হোক বলেও সওয়াল করা হয়। অ্যাডেভোকেট জেনারেল তাতে সম্মতি দেন।
এই প্রেক্ষাপটেই বেঞ্চ বলেছে, ২৯ অক্টোবর আন্দোলনকারীদের ছ’জন স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে সকাল ১১টায় দেখা করতে পারবেন। সেই বৈঠকে উপযুক্ত অন্যান্য পক্ষকেও স্বাস্থ্যসচিব রাখতে পারবেন। আন্দোলনকারীরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা তাঁরা মেনে চলবেন বলে উল্লেখ করে বেঞ্চ বলেছে, ওই কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসা ও শিক্ষার পরিবেশে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে সেখানে ‘সাইলেন্ট জোন’-এর নৈঃশব্দ্য বজায় রাখা হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার নিজেদের দাবির সমর্থনে গণ কনভেনশনের আয়োজন করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দুপুর ৩টেয় শুরু হয় কনভেনশন। রাজ্যের ছয়টি ডাক্তার সংগঠন ছাড়া সেখানে এন আর এস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেশকিছু কলেজের ছাত্রছাত্রী, এপিডিআর প্রভৃতি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ডাঃ পুণ্যব্রত গুণ বলেন, ২৯ আগস্টের বৈঠকের দিকে আমাদের নজর থাকবে। ছেলেমেয়েরা কাজে ফিরতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের দাবিও মানতে হবে।