কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
ঘটনাটি ঘটেছে বিজয়া দশমীর দিনে। ওইদিন দুপুর ১২টা নাগাদ এক দম্পতি ৪৭/৩ বি, গড়িয়াহাট রোডে একটি নামী সোনার দোকানে হাজির হয়। প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের সোনার আংটি দেখার পর, পছন্দ করে দু’টি। এরপর ওই দম্পতি বলে, সঙ্গে এত টাকা নগদ নেই। তাই তারা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে দাম মেটাতে চায়। দোকানের কর্মচারীরা তাতে রাজি হয়ে যান। তাঁরাই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর তাদের দিয়ে দেন। ওই অ্যাকাউন্টটি রয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে।
দম্পতির দাবি, তারা দোকানে বসেই আংটির দাম বাবদ প্রায় ষাট হাজার টাকা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে মিটিয়েছে। এমনকী দোকানের কর্মীদের আস্থা অর্জন করতে পেমেন্ট প্রক্রিয়া যে সফল হয়েছে, এই মর্মে নেট ব্যাঙ্কিংয়ের একটি ‘স্ক্রিন শট’ও কর্মীদের দেখায়। স্বভাবতই, ওই ‘স্ক্রিন শট’ দেখার পর দোকানের কর্মচারীদের আর কোনও সন্দেহ হয়নি। তাঁরা সোনার আংটি দু’টি প্যাকিং করে ওই দম্পতির হাতে তুলে দেন।
ওই দম্পতি দোকান ছাড়ার পরই সমস্যার সূত্রপাত। দেখতে দেখতে এক ঘণ্টা কেটে যায়। দু’ঘণ্টা কেটে যায়। কিন্তু আংটির দাম বাবদ নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে টাকা মেটানোর কোনও মেসেজ ওই দোকানের মোবাইলে আসে না। ফলে ঘাবড়ে যান দোকানের কর্মচারীরা। এরপর বিল বানানোর সময় যে ফোন নম্বর তারা দিয়েছিল, তাতে একাধিকবার ফোন করেন কর্মীরা। বিশ্বাস অর্জন করতে তারা মোট তিনটি মোবাইল নম্বর দিয়েছিল। কিন্তু সবকটি ফোন নম্বরই বন্ধ রয়েছে বলে উল্টোদিক থেকে শোনানো হয়। এমনকী, ঘটনার পর থেকে ওই দম্পতির খোঁজ মিলছে না।
বাধ্য হয়ে ওই স্বর্ণবিপণির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে কোনও টাকা লেনদেন হয়নি। ফলে ওই দোকানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও
টাকা ঢোকেনি।
জালিয়াতদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরেই ওই সোনার দোকানের পক্ষ থেকে গড়িয়াহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার ভিত্তিতে পুলিস প্রতারণা (৪২০), অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের (১২০বি) মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, এমন অপরাধ গড়িয়াহাটে এই প্রথম নয়। চলতি বছরে গড়িয়াহাটে অন্য এক নামী জুয়েলারি শপ থেকে সোনাদানা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল ভিন রাজ্যের একটি গ্যাং। যদিও তার কিনারা করেছে পুলিস। গড়িয়াহাট থানার এক সূত্র জানাচ্ছে, ওই দোকানের সিসিটিভি’র ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পুলিস ওই দম্পতি বা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।