শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি নদীয়ার কৃষ্ণনগর এলাকায়। তবে সে সোদপুর থানা এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে। নভেম্বর মাসের প্রথমে বনগাঁ পুলিস লাইনের মোটর ট্রান্সপোর্ট অফিসার (এমটিও) বিদুর সরকারকে সে ফোন করে। পুলিস সুপার তরুণ হালদারের নাম নিয়ে সে বিদুরবাবুর কাছে ১ লক্ষ টাকা চায়। এমনকী হুমকি দিয়ে জানায় দুই দিনের মধ্যে টাকা না দিলে পরিণাম খারাপ হবে। পুলিস সুপারের নাম নিয়ে বলায় তিনি প্রথমে বিষয়টিকে একেবারে অস্বীকারও করতে পারেননি। দ্বিতীয়বার ফোন পেয়ে অবসরের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো বিদুরবাবু চার বন্ধুর থেকে মোট ১ লক্ষ টাকা ধার করেন। ৫ ও ৬ নভেম্বর দুই দফায় ধৃতের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা পাঠান। তারপর পুলিস সুপারকে ফোন করে বলেন, স্যার আপনার কথা মতো অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি।
পুলিস সুপার এই কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েন। বিদুরবাবু সমস্ত কথা পুলিস সুপারকে জানান। এরপর দ্রুত পুলিস সুপার ওই অ্যাকাউন্ট নম্বর নিয়ে ব্যাঙ্কে জানান। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানায় টাকা জমা পড়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর বিদুরবাবু বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস তদন্তে নেমে বুধবার রাতে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে। পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে, সে এর আগেও এমন একাধিক প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়েছে।
বনগাঁর পুলিস সুপার তরুণ হালদার বলেন, ধৃত যুবক আমার নাম ভাঙিয়ে এক পুলিস অফিসারকে টাকা চেয়ে হুমকি দেয়। ওই পুলিস অফিসার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর পর বিষয়টি জানা যায়। এরপর তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।