শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
আক্রান্ত প্রোমোটারের নাম উজ্জ্বল চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি সোদপুরের একটি বেসরকারি আবাসন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আবাসন থেকে নিচতলায় নামতেই একদল বাইক নিয়ে এসে চড়াও হয় ওই প্রোমোটারের উপর। সঙ্গে ছিলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার জয়ন্ত ওরফে গোবিন্দ দাস বলে অভিযোগ। প্রোমোটারকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর কাছে থাকা নগদ সাত হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে নেয়। হামলার পরেই দলবল নিয়ে পালিয়ে যান প্রাক্তন কাউন্সিলার। আক্রান্ত প্রোমোটার এই ঘটনার পরেই খড়দহ থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উজ্জ্বলবাবু বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলার। টাকার দাবিতে বারবার তাগাদা দিয়েছেন। তোলা না দেওয়ায় আমার উপর হামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে পানিহাটি পুরসভায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছিল এই প্রাক্তন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। পুরসভায় ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুরের সময় ভয়ে পুরসভার আধিকারিকরা টেবিলের তলায় লুকিয়ে ছিলেন। ওই ঘটনার পরেও বুক ফুলিয়ে তোলাবাজি করে যাচ্ছিলেন ওই কাউন্সিলার। আক্রান্ত প্রোমোটারের কাকা রতন চক্রবর্তীর কাছেও কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করেছেন ওই কাউন্সিলার। টাকা না দেওয়ায় তাঁকেও একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সোদপুরের এক ব্যবসায়ীর দোকান ঘর বাড়ানোর জন্য কয়েক লক্ষ টাকা তোলা চান প্রাক্তন কাউন্সিলার গোবিন্দ বলে অভিযোগ। টাকা না দেওয়ায় ওই ব্যবসায়ী নিজের দোকানঘর বাড়াতে পারছেন না। প্রায়দিন এসে ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। ‘তোলাবাজ’ এই কাউন্সিলারের দাপটে অতিষ্ঠ সোদপুর, পানিহাটি এলাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, মদ্যপ অবস্থায় দলবল নিয়ে এসে কাউন্সিলার হুমকি দিয়ে যায়। দাবি মত তোলা না দিলেই আক্রমণের ঘটনা ঘটে। থানায় ওনার নামে বহু অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু শাসকদলের কাউন্সিলার হওয়ায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
এই প্রাক্তন কাউন্সিলারের কাজকর্মে শাসক দলেরও মুখ পুড়ছে। শাসক দলের একটা অংশ চাইছে তোলাবাজ এই কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিক। আক্রান্তদের পাশেও রয়েছে শাসক দলের ওই অংশ। অভিযুক্ত প্রাক্তন কাউন্সিলার জয়ন্ত ওরফে গোবিন্দ দাসের ফোন বন্ধ পাওয়া গিয়েছে। ফলে তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ঘটনাটি জানা নেই বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, জানি না। খোঁজ নিতে হবে।