শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, বর্তমানে যেসব রেক চলছে পাতাল পথে, তার থেকে চীনের রেকটি বিভিন্ন দিক থেকে উন্নত। প্রথমত, রেকটিতে একসঙ্গে ৩২০০ জন যাত্রী চড়তে পারবেন। তার মধ্যে বসার জায়গা রয়েছে ৪০৮টি। বর্তমানে যে রেকগুলি মেট্রোয় চলছে, তাতে একসঙ্গে সর্বাধিক ২৭০০ যাত্রী চড়তে পারেন। চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরি থেকে যে ছ’টি নতুন এসি রেক এসেছে, সেগুলিতে একসঙ্গে ৩০০০ জন যাত্রী চড়তে পারেন বলে খবর।
এই রেকের কেবল যাত্রী বহনের ক্ষমতাই যে বেশি, তা নয়। বর্তমানে যে এসি রেক চলছে, তার প্রতিটি কোচে ২২ টনের এসি রয়েছে। চীন থেকে আসা রেকটিতে রয়েছে প্রতি কোচে ২৮ টনের এসি। ফলে রেকের মধ্যে আরও বেশি ঠান্ডার অনুভূতি পাবেন যাত্রীরা। মেট্রোর এক কর্তা বলেন, চীনা রেকটির প্রতিটি কোচের ভিতরে তিনটি করে সিসিটিভি রয়েছে। তা দিয়ে ট্রেনের ভিতরের ছবি দেখতে পাবেন খোদ চালকও। ফলে চলন্ত ট্রেনে কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে, দ্রুত পদক্ষেপ করা যাবে। সিসিটিভির পাশাপাশি চীন থেকে আসা রেকটির প্রতিটি কোচে থাকবে ছ’টি করে টকব্যাক ইউনিট, যা বর্তমানে পরিষেবায় ব্যবহৃত রেকের কোচে থাকা টকব্যাক ইউনিটের চেয়ে বেশি। টকব্যাক ইউনিটের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজেদের সমস্যার কথা জরুরি ভিত্তিতে জানাতে পারেন চালককে।
কিন্তু রেকটিকে পরিষেবায় নামাতে এতটা দেরি হচ্ছে কেন? মেট্রোর এক কর্তা বলেন, আসলে চীন থেকে যে রেকটি এসেছে, তেমন রেক আগে পাতাল পথে পরিষেবায় ব্যবহৃত হয়নি। রেলের পরিভাষায় এই ধরনের রেককে ‘প্রটোটাইপ রেক’ বলা হয়। সেই কারণেই দীর্ঘ সময় ধরে রেকটিকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। বার বার ট্রায়াল রান চালানো হচ্ছে। আপাতত রেকটির লোড ট্রায়াল চলছে। সব কিছু পরীক্ষা করে তবেই প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে রেকটিকে পরিষেবায় নামানো হবে। এই পর্ব শেষ হলে তবেই চীন থেকে পরের রেকগুলিকে আনা হবে। চীন থেকে মোট ১৪টি এসি রেক আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তাহলে চীনের প্রথম রেকটি কবে যাত্রী পরিষেবায় নামবে? এ প্রশ্নে মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, এখনই দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়। ট্রায়াল চলছে। তার আগে চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরির কয়েকটি রেক পরিষেবায় নেমে যাবে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরি থেকে নতুন করে আসা চতুর্থ রেকটিকে পরিষেবায় নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বছরের প্রথম মাসে নামতে পারে চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরির আরও একটি রেক। সেই রেকটিও শহরে চলে এসেছে।