হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, ভাটপাড়া, গারুলিয়া পুরসভার বহু তৃণমূল কাউন্সিলার দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। মুকুল রায় তাঁদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে দলে যোগদান করিয়েছিলেন। সেইসব কাউন্সিলারদের বড় অংশই এখন পুরনো দলে ফিরে আসছেন। এদিন তৃণমূল ভবনে নৈহাটি পুরসভার ১০ জন এবং গারুলিয়া পুরসভার দু’জন কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন। এর ফলে নৈহাটিতে বর্তমানে তৃণমূল কাউন্সিলারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩। আর বিজেপির কাউন্সিলারের সংখ্যা কমে হল আট। এই পুরসভায় মোট কাউন্সিলারের সংখ্যা ৩১। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সবক’টি আসনই তৃণমূল পেয়েছিল। অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের ঘর ভাঙতে থাকে। একসঙ্গে ১৫ জন কাউন্সিলার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। আরও তিনজন কাউন্সিলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় স্বাক্ষর করেন। সমীকরণ দাঁড়ায় বিজেপির ১৮ এবং তৃণমূলের ১৩। সেই ১৮ জনের মধ্যে এদিন ১০ জন তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বলে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপি দখল করার পর ওই এলাকায় সন্ত্রাস শুরু করে। ভয়ে দলের অনেক কাউন্সিলারই দল বদল করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কাউন্সিলারের ছেলেকে মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, তৃণমূলই তাঁদের আসল পরিবার। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না তাঁরা। উমেশ সিং নামে এক দলীয় কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, কারও মাথা খারাপ বা ভ্রম না হলে কেউই তৃণমূল ছেড়ে যাবেন না। যাঁরা নতুন যাচ্ছেন, তাঁরাও ফিরে আসবেন।
শুধু কাউন্সিলাররাই নন, বিজেপি যুব নেতা প্রদীপ চক্রবর্তীও এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। সিপিএমের যুবনেতা প্রাঞ্জল গুহনিয়োগীও তৃণমূলে যোগ দেন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, মেয়াদ ফুরনো পুরসভাগুলিতে একই সঙ্গে নির্বাচন হবে। আগামী বছর এই পুরসভাগুলিতে নির্বাচন হওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।