হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শুক্রবার রাতে নৈহাটির গৌরীপুর মোড়ে মদের দোকান থেকে ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী উমেশ সিং দলবল নিয়ে প্রথমে বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। এরপর ফের বিজেপির কর্মীরা দলবদল নিয়ে এসে চড়াও হয়ে উমেশ সিংয়ের মাথার উপর মদের বোতল ভাঙা হয়। পরে রিভলভারের নল ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। জখম দলীয় কর্মীদের দেখতে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান বিজেপি কাউন্সিলার গণেশ দাস। সেখান থেকেই তাঁকে সহ মোট ৬ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ঘটনার খবর পেয়েই নৈহাটিতে রাতে পৌঁছন এমপি অর্জুন সিং। দলীয় কাউন্সিলারকে মুক্তির দাবিতে তিনি রাত ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত নৈহাটি থানায় বিক্ষোভ দেখান।
জখম তৃণমূল কর্মী উমেশ সিংকে রাতেই কলকাতায় স্থানাস্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে, শনিবার দলীয় কাউন্সিলারকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নৈহাটি শহরের একাধিক জায়গায় পথ অবরোধে নামেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। গৌরীপুর মোড়, সাহেব কলোনি, রামকৃষ্ণ সিনেমা হল মোড়, অরবিন্দ রোড ও কোনা মোড়ে অবরোধ হয়। কোনা মোড়ে পথ অবরোধে শামিল হন হালিশহর পুরসভার কাউন্সিলার রাজা দত্ত। সেখানে অবরোধ তুলতে পুলিস লাঠিচার্জ করে। ওই কাউন্সিলারকেও পুলিস নৈহাটি থানায় নিয়ে যায়। যা নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পরে এলাকার পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, আমাদের কর্মী উমেশ সিং গৌরীপুর মোড় এলাকায় একা তৃণমূল করছিল। তাতেই আক্রোশ বিজেপির। ওই এলাকার সকলকেই প্রায় ভয়ভীতি দেখিয়ে দলে টেনেছে। কিন্তু ওকে টানতে পারছিল না। তাই পরিকল্পনা মাফিক উমেশের উপর হামলা হয়েছে। প্রথমে ওর মাথার উপর মদের বোতল ভাঙা হয়েছে। বিজেপির কর্মীদের উপর আক্রণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পার্থবাবু।
বারাকপুরের এমপি অর্জুন সিং বলেন, বেআইনি মদের দোকান চালায় উমেশ। তা নিয়েই ঝামেলা। আমাদের দলের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। জখম কর্মীদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন দলের কাউন্সিলার গণেশ। তাকে সেখান থেকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস শাসক দলের দালালি করছে। কিন্তু এটা ওরা ভুলে যাচ্ছে, ৩৭০ ধারা তুলে দিতে পেরেছেন নরেন্দ্র মোদি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তুলতে সময় লাগবে না।
বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, দলের কাউন্সিলারকে গ্রেপ্তার, দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ একাধিক ঘটনার প্রতিবাদে এদিন পথ অবরোধ হয়েছে। কোনা মোড় থেকে দলের আরেক কাউন্সিলারকে পুলিস বেআইনিভাবে তুলে নিয়ে গিয়েছে। বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (জোন-১) অজয়কুমার ঠাকুর বলেন, মারধরের অভিযোগে গণেশ দাস সহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।