হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শুধু তাই নয়, পুজোর সময় বহু মানুষই আসেন জেলা বা ভিন রাজ্য থেকে। তাঁদের অনেকেরই মেট্রোয় চড়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে না। প্রশ্ন উঠছে, টোকেন ব্যবহারে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন না তো? উঠছে সেই প্রশ্নও।
যদিও, দু’টি বিষয় নিয়েই মেট্রোকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ফ্ল্যাপগেটের কাছে পুজোর দিনগুলিতে অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করা হবে। যাত্রীরা যাতে গেট থেকে বেরিয়ে টোকেন জমা করেন, তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দরকারে তাঁরা টোকেন ব্যবহারের ব্যাপারেও যাত্রীদের সহায়তা করবেন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ২০ হাজার করে টোকেন গায়েব হয়ে যায় পাতালপথে। নজরদারি বাড়িয়েও টোকেন খোয়া যাওয়ার ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না।
পাতালপথে যাত্রী সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। বর্তমানে কাজের দিনে মোট যাত্রী সংখ্যা প্রায় সাত লক্ষ ছুঁই ছুঁই। পুজোর দিনগুলিতেও সুষ্ঠু যাতায়াতে অনেকেই যে পাতাল পথে সফর করবেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কাজেই পুজোর দিনগুলিতেও মেট্রোয় ভিড় থাকবে। সেই ভিড় সামাল দেওয়ার মতো বাড়তি টোকেন রয়েছে তো? তবে মেট্রোকর্তাদের হিসেব, কোনও সমস্যা হবে না।
মেট্রো রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, সাধারণত কাজের দিনে মোটের উপর ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টোকেন দরকার পড়ে। পুজোয় বিভিন্ন স্টেশনে এক লক্ষ টোকেন দেওয়া হবে। তাতে পুজোর ভিড় সুষ্ঠুভাবেই সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। হঠাৎ করে কোনও দিন আরও বেশি টোকেন দরকার পড়লেও সমস্যা হবে না। কারণ, বর্তমানে মেট্রোর হাতে দু’লক্ষের বেশি টোকেন রয়েছে।
পুজোর দিনগুলিতে ট্রেনের সূচি বর্তমানে চূড়ান্ত করা হচ্ছে। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে সকাল আটটায়। এই দিনগুলিতে দুই প্রান্ত থেকে শেষ ট্রেন ছাড়তে পারে রাত ১১টা ১০ মিনিটে। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত দুপুরে পরিষেবা শুরু করিয়ে ভোর পর্যন্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পুজোর ভিড় সামাল দিতে নতুন রেক কি নামানো হবে? বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না কর্তাদের একাংশ। এক কর্তার কথায়, যে রেকে হাত আটকে পড়ে যাত্রীমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, সেই রেকটিকে দুর্ঘটনার পর থেকেই চালানো হচ্ছে না। এই রেকটিতে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি। পুজোর আগে এই রেকটিকে ফের পরিষেবায় নামানো হতে পারে। এর বাইরে নতুন রেকের ব্যাপারে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।