হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বিষ্ণুপুরের এসডিপিও প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, দলমাদল রোডে যুবক খুনের ঘটনায় এক ফুচকা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় ধৃত একাই জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তবুও ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল থেকেই বিষ্ণুপুর শহরে বৃষ্টি নামে। তাই রাস্তাঘাট প্রায় শুনশান ছিল। সন্ধ্যায় দলমাদল রোডে এক ফুচকা বিক্রেতার সঙ্গে সুজয় পাশোয়ান নামে ওই যুবকের বচসা বাধে। উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে পেঁয়াজ কাটার ছুরি দিয়ে সুজয়ের গলার নলি কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই সুজয় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা এক টোটোচালকের সহায়তায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কুড়চিবন এলাকার বাসিন্দারা রাতে বিষ্ণুপুর থানা ঘেরাও করেন। পরে রাতেই মূল অভিযুক্ত ওই ফুচকা বিক্রেতাকে পুলিস গ্রেপ্তার করে।
মৃতের দাদা বিজয় পাশোয়ান বলেন, একদিন আগে বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার আমি ও ভাই দু’জনেই হাসপাতালে বাবার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বিকেলের দিকে ভাই বাড়ি যায়। সন্ধ্যার পর আমার পাড়ারই একটি ছেলে ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় টোটোয় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ভাইকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। খুনের আগে তাঁর ঘাড় মটকে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ছুরি চালানো হয়েছে। ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত বলে আমাদের মনে হয়েছে। তাই আমরা পুলিসের কাছে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি।