হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, বৃষ্টির জেরে হাওড়া ইএমইউ কারশেডে জল জমে যায়। তার জেরে আপ-ডাউন শ্রীরামপুর লোকাল, আপ-ডাউন বেলুড় মঠ লোকাল, একটি করে ডাউন শেওড়াফুলি-হাওড়া লোকাল ও বেলুড় মঠ-হাওড়া লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়। এছাড়াও, হাওড়া এবং শিয়ালদহ বিভাগে কিছু ট্রেন দেরিতে চলাচল করেছে। রেললাইনের প্রায় আট ইঞ্চি উপরে জল উঠে যাওয়ায় চক্ররেলের প্রিন্সেপঘাট থেকে বাগবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে। একই কারণে বিবাদী বাগ এবং দমদমের মধ্যে দুপুর ২টো থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। চক্ররেল চলাচল একাংশে বন্ধ থাকায় একটি ট্রেন বিবাদী বাগ এবং বড়বাজারের মধ্যে আটকে পড়ে। সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ আটকে পড়া ওই ট্রেনটিতে থাকা এক যাত্রী ১০০ নম্বরে ফোন করে ঘটনার কথা পুলিসকে জানান। পরে ট্রেনটিকে বড়বাজার স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ট্রেন থেকে যাত্রীরা নেমে যান।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের জনাই রোড এবং কামারকুণ্ডু স্টেশনের মধ্যে ওভারহেড লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে। ঘটনার পরই ডানকুনি থেকে টাওয়ার ভ্যান পাঠানো হয় মেরামতির কাজের জন্য। যদিও এই ঘটনায় ট্রেন চলাচল প্রভাবিত হয়নি বলেই পূর্ব রেল জানিয়েছে। এই অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায় দুপুর আড়াইটে থেকে।
প্রবল বৃষ্টির জেরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলেও। টিকিয়াপাড়া কারশেডের কাছে জল জমে যায়। এই জোন সূত্রের খবর, এদিন তিনটি হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকাল, দু’টি হাওড়া-মেচেদা লোকাল বাতিল করা হয়। ডাউন লাইনেও মোট পাঁচটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। এছাড়াও, আরও কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিকিয়াপাড়ায় ছ’টি পাম্প চালিয়ে জল বার করার চেষ্টা হয়। খড়্গপুর বিভাগের ‘কীমেন’ ও ‘প্যাট্রোলমেন’দের সতর্ক করে দেওয়া হয়। ব্রিজ ও লাইনের নজরদারিতে তাঁদের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অফিসারদেরও টহলের নির্দেশ দেওয়া হয়।