হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এদিন কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে যেভাবে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে আশা করছি, ঘাটতি মিটে যাবে। জলের অভাব থাকবে না। জলের অভাবে বাঁকুড়ায় মাত্র ১৮ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ হয়েছিল। শুক্রবারই তা অনেক বেড়ে গিয়েছে। শুক্রবার রাতে ও শনিবার দিনভর যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে বাকি জমিতেও ধানের চারা রোপণ হয়ে যাবে। যে পরিমাণ জলের ঘাটতি রয়েছে, দু’-একদিনের বৃষ্টিতে তাও কেটে যাবে। আর উদ্বেগের কিছু নেই।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে এই সময় ৪ লক্ষ ২৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে ধানের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত। গত বছর বীজতলা তৈরি হয়েছিল ৪ লক্ষ ৩২ হাজার ১৪১ হেক্টর জমিতে। বর্তমান বছরে ইতিমধ্যে বীজতলা তৈরি হয়েছে ৪ লক্ষ ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর জমিতে। গত বছর এই সময় ধানের চারা রোপণ হয়েছিল ২২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৭৭ হেক্টর জমিতে। এ বছর ৬ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে রোপণ হয় ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৮৮ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ ৩৪ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পেরেছিলেন কৃষকরা। ৯৮.৩৬ শতাংশ জমিতে বীজতলা তৈরি হলেও ধানের চারা রোপণ হয়নি অর্ধেক জমিতে।
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে খরিফ চাষের পক্ষে খুবই ভালো হয়েছে বলে কৃষি দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, আরও কয়েকদিন এইভাবে বৃষ্টি হলে চাষের পক্ষে খুবই ভালো হবে। হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় বৃষ্টির ঘাটতির জন্য চাষের খুবই ক্ষতি হয়েছিল। এই ক’দিনের বৃষ্টিতে সেই ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।