হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই শহরের ৪টি পাম্পিং স্টেশনে পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা করা হয়। এছাড়াও ৪০টি পোর্টেবল পাম্প বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয়েছে। কিন্তু, গঙ্গায় জোয়ার থাকায় পাম্প চালিয়ে সকাল থেকে কোনও লাভ হয়নি। বেলা আড়াইটার পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে থাকায় জঞ্জাল সাফাইয়ে বিঘ্ন ঘটেছে। এদিন জিটি রোড, নেতাজি সুভাষ রোড সহ বিভিন্ন রাস্তার ধারের বড় ভ্যাটগুলিতে জঞ্জাল উপচে পড়ছিল।
হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা বলেছেন, অল্প সময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার জন্য এইভাবে শহরে জল জমে গিয়েছে। আমরা সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। পাম্প দিয়ে জল বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, পাম্প চালিয়েই তো হবে না। কারণ, গঙ্গায় জোয়ার ছিল। সেখানে জলস্তর অনেক বেশি ছিল। তাই জল ফেলা যায়নি। জোয়ার চলে যাওয়ার পর আমরা ফের পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা করছি। বিকাল পর্যন্ত অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখনও কিছু এলাকায় জল জমে আছে। পুরসভার কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শহরে কখনও মুষলধারে আবার কখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু, সারারাত বৃষ্টির কোনও বিরাম ছিল না। ফলে এদিন সকালেই শহরের রামরাজাতলা, দাশনগর, বেলগাছিয়া, সালকিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু সমান জল জমে যায়। শুধু তাই নয়, শিবপুর এলাকার দয়াল ব্যানার্জি লেন ও উমেশ ব্যানার্জি লেনে বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে যায়। লোকজন তার জন্য চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। টিকিয়াপাড়া এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়ির মধ্যে জল জমে যায়। তার জন্য জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে এদিনই বিদায় বোর্ডের দলীয় কাউন্সিলাররা দুর্গতদের বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেন। এদিন অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, নেতাজি সুভাষ রোড, জিটি রোড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় হাঁটু সমান জল জমে গিয়েছিল। উত্তর হাওড়ার অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। সেখানেও বহু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। একইভাবে ময়দান এলাকা এদিন কার্যত জলে থইথই করেছে। এক বছর আগেই ঘটা করে রাস্তা বন্ধ করে পঞ্চাননতলা রোডে নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরাতে কাজ হয়েছিল। কিন্তু, ওই কাজ যে আদৌ কোনও কাজে আসেনি, তা এদিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিন পঞ্চাননতলা রোডও জল জমে যায়।
বৃষ্টির কারণে এমনিতেই এদিন লোকজন রাস্তায় কম বেরিয়েছিলেন। গাড়িও কম চলাচল করেছে। কিন্তু, রাস্তায় জল জমে থাকায় গাড়ির গতি শ্লথ ছিল। ফলে এর মধ্যেও জিটি রোড সহ বিভিন্ন রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। গাড়ি চালকদের বক্তব্য, শহরের বেশ কিছু রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। সেখানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেই জন্য গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে। বর্ষা আসতেই শহরের রাস্তার এই অবস্থা হলে বর্ষার শেষে কী পরিণতি হবে, তা নিয়েই চিন্তিত গাড়ি চালকরা।