কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
প্রতিবছরই গরমকালে বিভিন্ন শহরের নানা জায়গায় জলস্তরে নেমে যায়। বহু জায়গায় পুরসভার ডিপ টিউবওয়েল থেকে জল ওঠে না। সাধারণ মানুষের খুবই জলকষ্ট হয়। কয়েকদিন আগেই উত্তর কলকাতায় জলের সমস্যা হয়েছিল। তখন শহরের বেলগাছিয়া এলাকায় ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে হয়। কলকাতার মতোই বিভিন্ন পুরসভার নানা প্রান্তে জলের সমস্যা রয়েছে। গরমকালে সেই সমস্যা আরও তীব্র হয়। তাই সেই জলকষ্ট ঘোচাতে গরম পড়ার আগেই পুর দপ্তরকে বিভিন্ন পুরসভার জন্য জলের ট্যাঙ্কার কিনতে হয়।
এবারও ৬১২টি ট্যাঙ্কার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর-নগরোন্নয়ন দপ্তর। আর এই ট্যাঙ্কার বহন করার জন্য তারা ১০২টি ট্রাক্টর কিনতে চায় তারা। এর জন্য টেন্ডার করা যাবে কি না, কমিশনের কাছে তার অনুমতি চেয়েছিল পুর দপ্তর। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে সেই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। কিন্তু কমিশন ব্যাখ্যা চেয়েছে, এখনই তা কেনার কী দরকার। কমিশনের জিজ্ঞাস্য, কোনও এলাকায় খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি? না হলে এখনই তা কিনতে হবে কেন?
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে পুর দপ্তরের কাছে ওই সব প্রশ্নের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে জবাব পেলে তা দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, গরম কালে আমাদের জলস্তর কমে যায়। এমনকী গঙ্গার জলও শুকিয়ে যায়। বিশেষ করে এপ্রিল-মে মাসে এই সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই আমরা জলের ট্যাঙ্কার ও ট্রাক্টর কিনতে চাই। তা শুধু কলকাতা পুরসভা নয়, বিভিন্ন পুরসভায় পাঠানো হবে। এগুলি জরুরি পরিষেবা। নির্বাচন কমিশন ব্যাখ্যা চেয়েছে, আমরা তার জবাব দিয়ে দেব। ওরা যদি অনুমোদন দেয়, তবে টেন্ডার করে জলের ট্যাঙ্কার কিনতে পারি।
১০ মার্চ ভোটের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা পর যে কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি দরকার হয়। ইতিমধ্যে কমিশন সমব্যাথী, রূপশ্রী, আলু কেনার প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু কৃষকবন্ধু চলতে পারে কি না, তা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলেও তার অনুমতি দেয়নি কমিশন। এছাড়াও কৃষ্ণনগরে একটি সড়ক সারাতে চায় পূর্ত দপ্তর। তার জন্যও আবেদন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রেও ওই কাজ এই মুহূর্তে কেন করা দরকার, তার ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। কমিশনের বক্তব্যের জবাব চেয়ে পূর্ত দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। জবাব এলে তা দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নেবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।