দেশ

গিরিডিতে জগদীশচন্দ্র বসুর বাসভবন ঢাকা পড়েছে আবর্জনা ও বালির স্তূপে,  উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ বাঙালিরা, সিন্দুক রহস্য অধরা আজও

প্রীতেশ বসু, গিরিডি: ১৯৯৭ সালে অবিভক্ত বিহারের তৎকালীন রাজ্যপাল এ আর কিদোয়াই গিরিডিতে উদ্বোধন করেছিলেন স্যার জে সি বোস স্মারক জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের। স্থানীয় বাঙালিরা ভেবেছিলেন, এতদিনে যোগ্য সম্মান পেতে চলেছেন বিশ্বখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু। গিরিডিতে জগদীশচন্দ্রের বাড়িতেই উদ্বোধন হয় ওই বিজ্ঞান কেন্দ্রের। কিন্তু কিছু সময় গড়ালে দেখা যায়, ঢাকঢোল পিটিয়ে বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্বোধনটুকুই হয়েছে! মহান বিজ্ঞানীর স্মৃতিতে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু করা হয়নি। আর এখন? চারপাশে বালি ও আবর্জনার স্তূপে ঢাকা একটি পরিত্যক্ত বাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়! বিজ্ঞান চর্চা বা জগদীশচন্দ্রকে স্মরণে রাখার কোনও চেষ্টা বা উদ্যোগ শত চেষ্টাতেও চোখে পড়ছে না। একসময় এই জায়গাই যে বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানীর বিচরণ ক্ষেত্র ছিল, তার কোনও চিহ্ন আজ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ঘরের দরজা-জানালা সব ভাঙাচোরা। ঐতিহাসিক বাড়িটির সিংহভাগ অংশ কার্যত ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বাড়িতেই জীবনের একটা বড় সময় কাটিয়েছিলেন বেতার তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অন্যতম পথিকৃৎ জগদীশচন্দ্র। গিরিডির বাড়িটি তাঁর একাধিক আবিষ্কারের সাক্ষী। সেই বাড়ি এখন পড়ে রয়েছে তালাবন্ধ অবস্থায়। কোনও কোনও অংশে তালা না থাকলেও এতটাই অপরিষ্কার যে ঢোকার উপায় নেই। সিঁড়ির একাংশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ফলে প্রতি মুহূর্তে রয়েছে বিপদের হাতছানিও। 
উদ্ভিদের প্রাণ আছে, তারা উত্তেজনায় সাড়া দেয়—এই সত্য যিনি সামনে এনেছিলেন, সেই বিজ্ঞানীর গবেষণার বেশ কিছু জিনিসপত্র এখনও এই বাড়ির মধ্যে কোথাও সাজিয়ে রাখা আছে বলে শোনা যায়। তবে এনিয়ে সংশয়ও রয়েছে স্থানীয় বাঙালিদের মধ্যে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তালাবন্ধ ঘরে বড় একটি সিন্দুক আছে। তার ভিতরে কী আছে, কেউ জানে না। কারণ, সেটি কোনও দিন খোলা হয়নি। কয়েক বছর আগে বাঙালিরা একজোট হয়ে গিরিডির ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরেটের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে। তিনি তাঁদের একটি পুরনো নথি দেখিয়ে জানান, সিন্দুকটি খুলতে পারবেন একমাত্র দেশের রাষ্ট্রপতি। এ পি জে আবদুল কালাম রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সিন্দুক খোলার আর্জি জানিয়ে চিঠি লেখা হয়েছিল। এখানকার পুরনো বাঙালি বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তৎকালীন রাষ্ট্রপতির গিরিডি আসার ব্যাপারে সব কিছু ঠিক হয়ে গেলেও কোনও এক অজানা কারণে শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়। ফলে সিন্দুক নিয়ে রহস্য রয়েই গিয়েছে। 
ঝাড়খণ্ড বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক অরিন্দম বসু বলছিলেন, ‘ওই বাড়ির বিপরীতে রাস্তার মোড়ে জগদীশচন্দ্র বসুর মূর্তিটি আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগেই বসানো হয়েছে। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে গিরিডিতে এই মহান বাঙালির স্মৃতি ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। জগদীশচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত ভবন এরকম অনাদরে পড়ে রয়েছে, এটা যথেষ্ট কষ্টের।’ গিরিডির বাসিন্দা তথা বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বাবু ঘোষ বললেন, ‘বর্তমানে এই বাড়িটির সংরক্ষণের দায়িত্ব ঝাড়খণ্ড সরকারের। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনকে শীঘ্রই চিঠি দেওয়া হবে।’ 
এসব কথাবার্তার মধ্যে পাশেই পেল্লাই একটি অফিসের দিকে নজর গেল। জানা গেল, যথেষ্ট পরিপাটি করে সাজানো এই ভবন থেকেই চলে জেলার সমগ্র শিক্ষা অভিযানের যাবতীয় কাজকর্ম। পাশেই ভগ্নস্তূপ হয়ে পড়ে রয়েছে বিজ্ঞানী বসুর বাড়ি। কেন এই বৈপরীত্য? গিরিডির বারগান্ডার বাসিন্দা আবির বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ জবাব, ‘সদিচ্ছার অভাব ছাড়া আর কিছুই নয়।’ - নিজস্ব চিত্র
3h 3m ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.২৭ টাকা১০৯.০১ টাকা
ইউরো৮৭.৪৪ টাকা৯০.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
15th     November,   2024
দিন পঞ্জিকা