দক্ষিণবঙ্গ

কৃষকবন্ধু প্রকল্পে টাকা পাওয়ার নিরিখে রাজ্যে দ্বিতীয় মুর্শিদাবাদ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদ জেলায় ১০ লক্ষ ৯০ হাজার চাষি ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই সাড়ে ১০ লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে এই টাকা ঢুকছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ২৫৭ কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এখনও প্রায় ৫০ হাজার চাষি এই অর্থ পাবেন। জেলাভিত্তিক উপভোক্তার তালিকা তৈরি করে নবান্নে পাঠায় কৃষিদপ্তরের জেলা অফিস। রাজ্য সরকার সেই তালিকা দেখে সরাসরি চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেয়। এবারের মোট উপভোক্তার সংখ্যা গতবারের তুলনায় বেশ কিছুটা বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। টাকার অঙ্কের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, আমাদের জেলায় মোট উপভোক্তা সংখ্যা ১০ লক্ষ ৯০ হাজার। এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার চাষির অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকেছে। বাকি চাষিদের অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকে যাবে। এর আগে খরিফ মরশুমের চাষের জন্য টাকা পেয়েছেন চাষিরা। এবার রবি মরশুমের জন্য দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকছে। 
প্রসঙ্গত, চাষজমির পরিমাণ অনুযায়ী একজন কৃষক বছরে সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। লোকসভা নির্বাচনের পরপর, অর্থাৎ মাস পাঁচেক আগে চলতি বছরের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বর মাসে রবি মরশুমের চাষ শুরুর আগেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পড়ল চাষিদের অ্যাকাউন্টে। ২০১৯ সালে এই প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। এতদিনে প্রকল্পের মোট উপভোক্তার সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পে গ্রাম বাংলার চাষিদের হাল ফিরেছে। এদিকে, ট্যাবকাণ্ডের পর অন্যান্য প্রকল্পের মতো ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সতর্ক সরকার। কোনও কারচুপি বা বিভ্রান্তি যাতে না থাকে, সেদিকে কড়া নজর রাখছেন কৃষিদপ্তরের কর্তারা। 
জেলা কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, চাষিদের অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং আইএফএসসি কোড আমরা বারবার মিলিয়ে তবেই লিস্ট ছেড়েছি। টাকা ছাড়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই জেলার অধিকাংশ চাষি টাকা পেয়েছেন। এখন সামান্য কিছু চাষির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে বাকি আছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ডেবিট হয়ে যাবে।  মেহেদিপুরের এক সব্জি চাষি রতন ঘোষ বলেন, এবছর দুই বিঘা জমি ভাগ করে পালং শাক, গাজর ও বাঁধাকপির চাষ করেছি। আগেই জমি প্রস্তুত করে চারা লাগিয়ে দিয়েছিলাম। চলতি সপ্তাহে কৃষকবন্ধুর টাকা পেয়েছি। এবার বিষ তেল ও সার কিনতে সুবিধে হবে। হরিহরপাড়ার সর্ষে চাষি সফিউল্লা রহমান বলেন, প্রতিবার এই টাকাটা খুব কাজে আসে। চার বিঘা জমি চাষ করে সর্ষে বীজ ছড়িয়েছি। সার কেনার টাকা নেই। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের দশ হাজার টাকা ঢুকেছে। এই টাকা দিয়েই রবি মরশুমের চাষ হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কথা ভাবেন বলেই আমরা এখনও টিকে আছি। তবে সারের দাম একটু নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা করা উচিত। 
 
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৮৮ টাকা৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৯ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৭.২৫ টাকা৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা