চণ্ডীগড় ও নয়াদিল্লি: স্বর্ণমন্দিরে গুলি। প্রাণনাশের চেষ্টা শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদলের। বুধবার অমৃতসরের এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিরোধীরা তুলোধোনা করেছে পাঞ্জাবের ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (আপ) সরকারের। পাল্টা ঘটনার নিন্দা করে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, পাঞ্জাবকে বদনাম করার চক্রান্ত হচ্ছে। নেপথ্যে বড় শক্তি রয়েছে। একই সুর মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের গলাতেও। 
স্বর্ণমন্দিরের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজেপি নেতা শাহজাদ পুনাওয়ালা দাবি করেন, পাঞ্জাবে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। মুখ্যমন্ত্রী মান ও ‘সুপার মুখ্যমন্ত্রী’ কেজরিওয়াল এর জন্য সরাসরি দায়ী। নেপথ্যে কি কোনও চক্রান্ত রয়েছে? নাকি স্রেফ ওই দু’জনের ব্যর্থতা ও অদক্ষতার কারণে এমন ঘটনা? একমাত্র নিরপেক্ষ তদন্তেই তা স্পষ্ট হবে। সুর চড়িয়েছেন শিরোমণি অকালি দলের নেতা দলজিৎ সিং চিমা। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। সমালোচনায় সরব কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ঘটনার নিন্দা করে বলেন, সরকারের ১০০ শতাংশ গাফিলতি রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তোপ দেগে এসিপিকে সাসপেন্ডের দাবি জানিয়েছেন তিনি। অকাল তখতের জাঠেদার গিয়ানি রঘবীর সিংও উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে আপ শীর্ষ নেতৃত্ব। কেজরিওয়াল দাবি করেন, পাঞ্জাব ও পাঞ্জাবিদের বদনাম করতে বড় চক্রান্ত হয়েছে। নেপথ্যে অনেক বড় শক্তি রয়েছে। কিন্তু পাঞ্জাব পুলিসের তৎপরতায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। একই সুরে মুখ্যমন্ত্রী মান এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আজ রাজ্যে বড় একটি ঘটনা প্রতিহত করে দিয়েছে পাঞ্জাব পুলিস। তাদের তৎপরতায় পাঞ্জাব ও পাঞ্জাবিদের বদনামের চেষ্টা মুখ থুবড়ে পয়েছে।’ বাদলের উপর হামলার চেষ্টার তীব্র নিন্দা করে তিনি পুলিসকে দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।