বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
মুম্বইয়ের ইমিটেশন জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র মেহতা ফোনে বলেন, বাংলার ডোমজুড় বা ঘাটালে নকল গয়নায় যে বিপুল সংখ্যক শিল্পী কাজ করেন, তাঁদের অবস্থা যে ভালো নয়, তা আমরা মুম্বইয়ে বসেই খবর পাই। যেভাবে সস্তায় চীনের গয়না এখানে আসছে, তার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যাচ্ছে না। মেশিনে তৈরি গয়নার খরচ সেখানে কম হওয়ায়, দ্রুত তারা এখানকার বাজার পেয়ে যাচ্ছে।
সোনা, রত্ন, অলঙ্কার সহ সংশ্লিষ্ট মহলের জন্য একটি আলাদা ‘ডোমেস্টিক কাউন্সিল’ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা দেশে যেভাবে নকল গয়নার বাজার বাড়ছে, তাকে গুরুত্ব দিতেই কাউন্সিলে ঠাঁই হয়েছে নকল গয়নার সংগঠনের। তবে সেখানকার কর্তারা বলছেন, কাউন্সিল সুষ্ঠুভাবে চালু হতে এখনও সময় লাগবে। তাই তাদের দাবি, সরকার তার আগেই পদক্ষেপ করুক নকল গয়না শিল্পের সঙ্কট নিয়ে।
ব্যবসায়ীদের যুক্তি, বাদবাকি গয়না শিল্পের থেকে অনেক বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয় নকল গয়না শিল্পে। এক কেজি সোনার দাম এখন ৩০ লক্ষ টাকা হলে প্রতি গ্রামে ১৫০ টাকা মজুরিতে মোট মজুরির অঙ্ক হয় দেড় লক্ষ টাকা। সেখানে ৩০ লক্ষ টাকার ইমিটেশন গয়না তৈরি হলে, তাতে মজুরির ভাগ থাকে অন্তত ১৮ লক্ষ টাকা। এর থেকেই বোঝা যায়, গ্রামীণ অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে এই শিল্প। ব্যবসায়ীদের দাবি, শুধু আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে চীনের থাবা থেকে বাঁচানো যাবে না এই শিল্পকে। সমস্যার আশু সুরাহা চান তাঁরা।
ভারতীয় নকল গয়নার দাম বেশি। তাই রপ্তানির বাজারেও ব্যবসা হারাচ্ছে ভারত। আমেরিকার সাম্প্রতিক শুল্ক যুদ্ধেও ভারতীয় নকল গয়না শিল্প মার খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।