Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একটু ভাবুন
শুভা দত্ত

বেগুন আশি টাকা! তাও গুণমানে ট্যারাবেঁকা। সবুজ বিন দেড়শো টাকা! বাদবাকি সব্জি ৪০-৫০-৬০! ডাল তেল মশলার কথা তো বাদই দিলাম। গত শনিবার বাজেটের খবর বেরতে না বেরতেই বাজারে ফের যেন নতুন করে আগুন লেগে গিয়েছিল। এমনিতে বহুদিনই রোজকার বাজার অগ্নিশর্মা হয়ে আছে। কেন্দ্রীয় বাজেট যেন তাতে আর একপ্রস্থ ঘৃতাহুতি দিয়ে গেল! দামের আগুনও উঠল লকলকিয়ে। আর সেই আগুনের তাপে চল্লিশের বেগুন আশি! সব সব্জি এক ধাক্কায় কেজিতে পাঁচ/দশ টাকা ঊর্ধ্বমুখী! পরিচিত জনেদের কাছে এমন খবর পেয়ে অবশ্য খুব একটা অস্বাভাবিক লাগেনি। এই দেশে এমনটাই ট্র্যাডিশন। বাজেটের ভালোমন্দ, তাতে কী আছে না আছে, তাতে সত্যিই কতটা দাম বাড়তে পারে বা বাড়বে বা আদৌ বাড়বে কি না—ওসব দেখে বুঝে নেওয়ার দরকার নেই। টিভিতে বলেছে কাগজে লিখেছে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে, তাতে লরি-গাড়ির ভাড়া বাড়ার সম্ভাবনা—ব্যাস! হয়ে গেল। ধপাধপ রাতারাতি চড়িয়ে দাও আনাজপাতি থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম, যেখানে যেমন পার। অতঃপর, আমজনতার নিত্যদিনের বাজারে ফড়েদের দাপাদাপি শুরু এবং তার অনিবার্য পরিণতিতে সবের দাম এক লাফে অনেকটা দূর! আর্থিকভাবে দুর্বল দিন আনি-দিন খাই থেকে সাধারণ মধ্যবিত্ত—সকলের টাইট অবস্থা আর একটু টাইট। আর তাই নিয়ে পথে-ঘাটে আড্ডায় আসরে অফিসে কাছারিতে ক্ষোভ বিতর্ক বিরক্তির ছড়াছড়ি, অভিযোগ অনুযোগের গতানুগতিক সাতকাহন। বছরের পর বছর এমনটাই তো দেখে আসছি, শুনে আসছি আমরা— আসছি না?
আমাদের রাজ্যটাও তো এই দেশের বাইরে নয়। অতএব এখানেও বাজেট প্রকাশ পাওয়া মাত্র এমনটা হবে—এতে আশ্চর্য কী? এমনটা হলে তাকে অস্বাভাবিকই বা ভাবি কী করে! তার চেয়েও বড় কথা, কেবল আনাজপাতির দরদামই তো নয়, বাজেটকে শিখণ্ডী করে সর্বস্তরেই পাওনা আদায়ের রেট বাড়ানোর একটা প্রয়াস প্রক্রিয়াও যে শুরু হয়ে যায় সেটাই বা কে না জানে? এই তো, বাজেটের পর কদিন যেতে না যেতেই বাস-ট্যাক্সির ভাড়ায় এক লপ্তে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি উঠে এল! পণ্য পরিবহণের লরি গাড়িও যে এই দাবির বাইরে থাকবে না তা বলাই বাহুল্য! আর এই দাবিতে নিত্যদিনের বাজার যদি আর একপ্রস্থ চড়ে বসে তাতেও কি আমরা খুব অবাক হব? কেন চড়ল দাম—প্রশ্ন করলে বাঁধা বুলি তো আছেই, লরি-গাড়ির ভাড়া বাড়ছে, পাইকারি মাল আনা-নেওয়ায় খরচ বাড়ছে—দাম বাড়বে না? হয়ে গেল। অন্যদিকে গাড়িওয়ালারা বলবেন, দেখেননি, বাজেটে পেট্রল ডিজেলের উপর কেমন সেস বসিয়ে দিয়েছে দিল্লি। এমনিতেই তো রোজ ডিজেল পেট্রলের দাম কমা-বাড়া হচ্ছে। এবার বাজেটের পর তো পাকাপাকিভাবে ওই জ্বালানির দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে, আমাদের চলবে কী করে? ভাড়া না বাড়ালে গাড়ি বন্ধ করে দিতে হবে। গাড়ি চালিয়ে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটেও যদি পেটে ভাত না জোটে তবে খাটবে কে?
হক কথা। ঠিকই তো—পণ্য পরিবহণই হোক, কি যাত্রী পরিবহণ—সংশ্লিষ্ট কর্মীদের তা সে তিনি ড্রাইভার-কন্ডাকটারই হোন কি তাঁদের সহযোগী, সকলকেই যে উদয়অস্ত কঠোর পরিশ্রম করে পেটের ভাত জোগাড় করতে হয়—তাতে সন্দেহ কী? তাঁরা তাঁদের আয় বাড়ানোর দাবি করতেই পারেন। কিন্তু কথা হল, বাজেট লাগুই হল না কেবল প্রস্তাব পেশ হল আর অমনি চারদিকে দাম বাড়ানোর হাঁক কেন! শুধু কি তাই? বাজেট পেশ হতে না হতেই দাম চড়ে যাচ্ছে—এটাই বা কেমন কথা! আমরা বলছি না যে বাজেটে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পরিবহণ খরচ বা জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না, নিশ্চয়ই বাড়বে। তাই বলে এমন রাতারাতি কেন? আজ কে না বোঝেন যে আগের দিনের চল্লিশ টাকা কেজির বেগুন পরের রাতে কোন গুণে আশি টাকা হয়। পুজো উৎসবের সময় বা কোনও একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কি একটু বৃষ্টি-বাদলা হলেই কোন গুণে মাছ, সব্জি থেকে যাবতীয়ের দাম অমন ধাঁ করে চড়ে যায়? জানেন, বহুজনাই জানেন—সে দাম বাজেটে বাড়ে না, বাড়ে ফড়ে-দালালের কারসাজিতে। চটজলদি মুনাফার লোভে এখন দেশ-রাজ্যের বাজারগুলোতে এই ফড়েদের উৎপাত মাত্রাছাড়া—তেমনটাই বলেন তথ্যভিজ্ঞজনেরা।
এই ফড়েরা সারাক্ষণ সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। পুজো-পার্বণ, ঝড়-বৃষ্টি দুর্যোগের মতো বাজেটও এদের কাছে একটা সুযোগ। এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর একাধিকবার এই ফড়েদের উৎপাত কমানোর চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাময়িকভাবে তাতে কিছু কাজও হয়েছিল। তবে ধূর্ত সুযোগ-সন্ধানী, ফড়ে-দালাল বাহিনীকে যে পুরোপুরি কব্জা করা যায়নি তার প্রমাণ মাঝেমধ্যেই মিলেছে, মেলে। এই যেমন এবার বাজেট প্রকাশ মাত্রেই বাজার যে ধক করে অনেকটা চড়ে গেল, মূল্যবৃদ্ধির আঁচ লাগল আমজনতার মুখে—তার জন্য বাজেট যত না দায়ী তার চেয়ে ঢের বেশিগুণ দায়ী ওই ফড়ে-দালালেরা। বাজারের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে তথ্যভিজ্ঞ সকলেই বলছেন সেকথা। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এবারের বাজেটে জ্বালানি তেলের উপর নতুন করে সেস বসায় সব কিছুর দাম বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র বা কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর মতো বিরোধী নেতা-নেত্রীরা সেই আশঙ্কার কথা তুলে ইতিমধ্যেই দেশের প্রথম পূর্ণ সময়ের মহিলা অর্থমন্ত্রী বাজেটের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’ নরেন্দ্র মোদিজির দ্বিতীয় সরকারের প্রথম বাজেটকে ‘পুঁজির পৌষমাস’ বলে কটাক্ষও করেছে। এবং সেটাও স্বাভাবিক। বিরোধী শিবির চিরকাল এভাবেই কেন্দ্রীয় কি রাজ্য বাজেটের নেতিবাচক দিকগুলো জনতার সামনে তুলে ধরেন, বাজেট প্রস্তাব রূপায়িত হলে মানুষের কোথায় কতটা চাপ পড়বে তার আগাম আভাস দেন।
কিন্তু, বাজেটের কারণে মূল্যবৃদ্ধির আগেই যদি বাজার চড়ে যায়—তাহলে কী বলা যাবে!? সত্যি বলতে কী, বাজেট প্রস্তাব পেশ হতে না হতেই কলকাতার বাজারে দাম বৃদ্ধির বহর শুনে অস্বাভাবিক না লাগলেও এই ধন্দটা কিন্তু মনে জেগেছে—কে বাড়ায় দাম! মজুতদারি, মুনাফাবাজি, ফাটকার মতো শব্দগুলো ষাট-সত্তর-আশির দশকের মতো আজকাল আর অত শোনা যায় না ঠিকই, কিন্তু তাদের অস্তিত্ব যে আজও বহাল সেটা কিন্তু বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে বাজারের চেহারা চরিত্র থেকে বেশ ভালোই মালুম পাওয়া যায়। পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের দাপটে ভেজাল আর লোক ঠকানোও যে এখনও প্রায় অবাধে চলেছে তাতেও কোনও সন্দেহ নেই। বাজারে দোকানে ওজন কম দেওয়া, নকল নিম্নমানের জিনিস বেশি দামে গছিয়ে দেওয়া ইত্যাদি তো এখন এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী দোকানদারের ক্ষেত্রে রেওয়াজই হয়ে গেছে। কিন্তু, তাই বলে জীবনদায়ী ওষুধ! আমাদের রাজ্যে ওষুধ এমন হারে ভেজাল হচ্ছে যে, সিএজি অব্দি নাকি তাঁদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন! খবরেই পড়লাম। যারা এসব করছে তারা কি মানুষ! মানুষের জীবনের কোনও মূল্যই যাদের কাছে নেই, সামান্য কটা টাকার জন্য যারা এমন জঘন্য ব্যবসা করতে পারে তাদের মানুষ বলা যায়! পৃথিবীর কঠিনতম শাস্তিও কি এদের অপরাধের উপযুক্ত হয়?! শুধু এরা কেন, যারা ওই জাল ওষুধপত্র রোগী বা তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছে তাদের অপরাধও কি কম? কিন্তু, আশ্চর্যের ব্যাপার হল, এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড চলছে অথচ কারবারিরা কেউ ধরা পড়ছে না! ড্রাগ কন্ট্রোল বলে যে দপ্তরটি আছে তারও বিশেষ হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না! অথচ, এই ভেজাল ওষুধ সরকারি হাসপাতালে ঢুকে রোগীর জীবন সংকটাপন্ন করে তুললে আর একটা এনআরএস কাণ্ড ঘটে যেতেই পারে! মুনাফাবাজরা তো সঙ্গত কারণেই সেই বিপদের কথা ভাববে না, কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বাদবাকিরা?
শুক্রবার জল সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে জনসচেতনতা গড়তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহানগরীর পথে নেমেছিলেন। নিঃসন্দেহে সময়োচিত উদ্যোগ। এর পাশাপাশি বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সবুজায়নের সুফল বোঝানোর চেষ্টাও চালাচ্ছে। অবিলম্বে লাখ লাখ গাছ লাগিয়ে পৃথিবীর সবুজের অভাব পূরণ না করলে যে মানব সভ্যতা আগামী এক দশকের মধ্যেই ঘোরতর বিপদে পড়বে সেই বার্তা দিচ্ছে। কিন্তু, তাতে ফল কতটা হচ্ছে তা
নিয়ে সন্দেহ এখনও যথেষ্ট। কারণ, রাজ্যের
নানা জায়গায় এখনও নির্বিচারে গাছ কাটা চলছে, তার ছবি ও খবর বেরচ্ছে। আর কোনওরকম তর্কে না গিয়ে চোখ বুজেই বলে দেওয়া যায়, বিশ্বের চারদিক
থেকে পানীয় জল নিয়ে গুরুতর অশনিসংকেত আসার পরও আমাদের এই কলকাতা শহরে তো বটেই, গোটা রাজ্যেই প্রতিদিন বিশাল পরিমাণ জল অপচয় হয়। আপাতত বেশির ভাগ জায়গায় জলের জোগান স্বাভাবিক আছে বলে সেটা গায়ে লাগছে না। তাই এখনও আসন্ন মহাবিপদের কথাটা ভাবছেন খুব সামান্যজনই। বাদবাকিরা এখনও নির্বিকার, ভয়ডরহীন—দু’জনের সংসারে আড়াই-তিন
হাজার লিটার শেষ করে দিচ্ছে দিনে, বাড়ি গাড়ি ধোয়া চালাচ্ছে কর্পোরেশনের পানীয় জলে! আহাম্মক
আর কাকে বলে। অন্যদিকে মুনাফাবাজেরা এখনও ভেজাল ওষুধ ছড়িয়ে, বৃষ্টি-ঝড় বাজেটের মতো কিছু পেলেই বাজারে আগুন লাগিয়ে আখের গোছাচ্ছে! এবং এই দুয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে নাজেহাল
বিপর্যস্ত সংকটাপন্ন হচ্ছে সাধারণ গরিব মধ্যবিত্তের দৈনন্দিন যাপন। কিন্তু, যেদিন চেন্নাইয়ের মতো
এই মহানগরীর জলতৃষ্ণা মেটাতেও ট্রেন-
ট্যাঙ্কার আনতে হবে—সেদিন আজকের অপচয়
এই সবুজ নিধন প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়াবে না তো?
একটু ভাবুন।
14th  July, 2019
মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

নয়া শিক্ষানীতির কেন্দ্রবিন্দুই হল এই ভারতীয়ত্বের নাম করে মধ্যযুগীয় বাতিল চিন্তা ভাবনার জাবর কাটার প্রচেষ্টা। পঞ্চতন্ত্র, জাতক, হিতোপদেশের গল্পকে তাঁরা স্কুল পাঠ্য করতে চাইছেন, সংস্কৃত শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন অথচ ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকে গুরুত্বহীন করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। পাঠ্যতালিকায় বহু ব্যক্তির জীবনীচর্চার উল্লেখ আছে, কিন্তু সেই তালিকায় ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের নাম সযত্নে বাদ দেওয়া হয়েছে। রামমোহন-বিদ্যাসাগরই যে এদেশে প্রথম ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাতিল করে আধুনিক শিক্ষা প্রচলনের জন্য লড়াই করেছিলেন তা কারোর অজানা নয়। ভারতীয় নবজাগরণের এই মনীষীরা যে আরএসএস-বিজেপির চক্ষুশূল তা আজ জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

সাত শতাংশ বৃদ্ধির ফাঁদে
পি চিদম্বরম

 কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটগুলির মধ্যে ২০১৯-২০ সালের বাজেট স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত জট খুলল। মানুষের মধ্যে এই বাজেট নিয়ে কিংবা আগের বাজেট প্রস্তাবটি নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। অতিশয় ধনীরা (সুপার রিচ ৬৪৬৭) বিরক্ত, তবুও ভয়ে স্পিকটি নট। ধনীদের স্বস্তি এখানেই যে তাঁদের রেয়াত করা হয়ে থাকে।
বিশদ

বেনোজলের রাজনীতি
তন্ময় মল্লিক

জেলায় জেলায় নব্যদের নিয়ে বিজেপির আদিদের ক্ষোভ রয়েছে। আর এই ক্ষোভের অন্যতম কারণ যোগদানকারীদের বেশিরভাগই এক সময় হয় সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর সদস্য ছিলেন, অথবা তৃণমূলের ‘কাটমানি নেতা’। তাই এই সব নেতাকে নিয়ে স্বচ্ছ রাজনীতির স্লোগান মানুষ বিশ্বাস করবে না। উল্টে লোকসভা ভোটে যাঁরা নীরবে সমর্থন করেছিলেন, তাঁরা ফের নিঃশব্দেই মুখ ফিরিয়ে নেবেন।‘ফ্লোটিং ভোট’ যে মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারে, সেটা বিজেপির পোড়খাওয়া নেতারা বুঝতে পারছেন। তাঁরা বলছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর যাঁরা আসছেন তাঁরা কেউই বিজেপির আদর্শের জন্য আসছেন না, আসছেন বাঁচার তাগিদে। কেউ কেউ লুটেপুটে খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখার আশায়।
বিশদ

13th  July, 2019
ঘোষণা ও বাস্তব
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত সরকারের অন্যতম প্রধান একটি প্রকল্পই হল নদী সংযোগ প্রকল্প। দেশের বিভিন্ন নদীকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। যাতে উদ্বৃত্ত জলসম্পন্ন নদী থেকে বাড়তি জল শুকনো নদীতে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বারংবার এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। গোটা প্রকল্প রূপায়ণ করতে অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা দরকার। এদিকে আবার বুলেট ট্রেন করতেও ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে! আধুনিক রাষ্ট্রে অবশ্যই দুটোই চাই। কিন্তু বাস্তব প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিচার করলে? কোনটা বেশি জরুরি? বিশদ

12th  July, 2019
মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

 কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর থেকে সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১৯-এর যে খসড়া প্রকাশিত হয়েছে তার যে অংশ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে হই চই পড়েছিল তা হল বিদ্যালয় স্তরে ত্রি-ভাষা নীতির মাধ্যমে অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে জোর করে হিন্দি চাপানোর বিষয়টি। তামিলনাড়ুর মানুষের প্রবল আপত্তিতে তা কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বিশদ

11th  July, 2019
কেন তেরোজন অর্থনীতিবিদ অখুশি হবেন?
পি চিদম্বরম

প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. অরবিন্দ সুব্রামনিয়ন পাঁচ বছর আগে তাঁর প্রথম অর্থনৈতিক সমীক্ষা (ইকনমিক সার্ভে ২০১৪-১৫) পেশ করে বলেছিলেন, ‘‘ভারত একটা সুন্দর জায়গায় (সুইট স্পট) পৌঁছে গিয়েছে—জাতির ইতিহাসে এটা বিরল—এইভাবে শেষমেশ দুই সংখ্যার মধ্যমেয়াদি বৃদ্ধির কৌশলে ভর করে এগনো যাবে।’’
বিশদ

08th  July, 2019
জলের জন্য হাহাকার আমাদের কি একটুও ভাবাচ্ছে!
শুভা দত্ত

আমাদের এখনও তেমন অসুবিধে হচ্ছে না। কারণ, কলকাতা মহানগরীতে এখনও পানীয় হোক কি সাধারণ কাজকর্ম সারার জলের অভাব ঘটেনি। ঘটেনি কারণ আমাদের জল জোগান যে মা গঙ্গা, তিনি এখনও বহমান এবং তাঁর বুকের ঘোলা জলে এখনও নিয়ম করে বান ডাকে, জোয়ার-ভাটা খেলে।
বিশদ

07th  July, 2019
এক বাস্তববাদী রাজনীতিকের নাম শ্যামাপ্রসাদ
হারাধন চৌধুরী

 নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় সরকার নিয়ে বিজেপি তিন দফায় ভারত শাসনের দায়িত্ব পেল। কংগ্রেসকে বাদ দিলে ভারতের আর কোনও রাজনৈতিক দল এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। ২০১৯-এর লোকসভার ভোটে বিজেপি ক্ষমতা অনেকখানি বাড়িয়ে নিয়েছে। ২০১৪-র থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং তিনশোর বেশি আসন দখল করেছে।
বিশদ

06th  July, 2019
চাকরি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রত্যাশিত দিশা দেখাতে পারল না নির্মলা সীতারামনেরও বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

 লোকসভা নির্বাচনের আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান বছরের (২০১৯-২০) অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল। নির্বাচনে বিপুল জয়ের পরে বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দ্বিতীয় মোদি সরকারের বর্তমান অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে আয় ও ব্যয় অন্তর্বর্তী বাজেটে যা ধরা হয়েছিল সেটাই অপরিবর্তিত রইল।
বিশদ

06th  July, 2019
চীনা ঋণের ‘নাগপাশ’
মৃণালকান্তি দাস

বৈদেশিক ঋণের পাহাড় কীভাবে একটা দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে, শ্রীলঙ্কা তার ক্ল্যাসিক দৃষ্টান্ত। হামবানতোতা বন্দরকে ৯৯ বছরের লিজে চীনের কাছে হস্তান্তরে বাধ্য হওয়ার পর সেই ধারণাই আরও জোরালো হয়েছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিবিদ উমেশ মোরামুদালি লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের চেহারা আসলে যা ভাবা হচ্ছে, তার চেয়েও অনেক বেশি সাঙ্ঘাতিক। চীনের ঋণ একা দায়ী নয়। হামবানতোতা বন্দর নির্মাণের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে শ্রীলঙ্কা যে ঋণ নিয়েছিল তার জন্য প্রতিবছর যে টাকা শোধ করতে হচ্ছে, সেটা শ্রীলঙ্কার মোট বার্ষিক ঋণ পরিশোধের ৫ শতাংশও নয়। অন্যভাবে বললে, হামবানতোতা আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র।
বিশদ

05th  July, 2019
জি-টোয়েন্টির মঞ্চে ভারতের সফল কূটনীতি
গৌরীশঙ্কর নাগ 

বাস্তবিকই তাই। দ্বিতীয়বার জিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বিপুল জনসমর্থনকে ভারতের বহির্বাণিজ্য ও কূটনৈতিক নেটওয়ার্ককে মজবুত করার কাজে নিযুক্ত করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁর দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিমস্টেকের অন্তর্গত সকল সদস্য রাষ্ট্র ও সাংহাই কোয়াপারেশন অর্গানাইজেশনের এখনকার সভাপতি কিরঘীজ রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি মোক্ষম চাল দিয়েছেন। 
বিশদ

04th  July, 2019
অ্যাঞ্জি, আয়লান ও মানবিকতার হত্যা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 আরও একটা ছবি...। মর্মান্তিক বললেও কম। আর সেটাই গোটা দুনিয়ার চোখে আঙুল দিয়ে ফের দেখিয়ে দিল, মানবিকতার থেকে অর্থনীতির গুরুত্ব আজ অনেক বেশি। কালো টি-শার্ট, কালো শর্টস পরা শরীরটা মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে কাদায়। আগাছার মধ্যে। টি-শার্টটা একটু উঠে। তার ফাঁক থেকে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট আর একটা শরীর। ২৩ মাসের অ্যাঞ্জির।
বিশদ

02nd  July, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিলিগুড়ি শহরের প্রতিটি স্কুল, কলেজ সহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে শুধু চিঠি দিয়ে কাজ সারতে চাইছে না পুর কর্তৃপক্ষ।  ...

  কাঠমান্ডু, ১৪ জুলাই (পিটিআই): অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নেপালের জনজীবন। বন্যা ও ভূমিধসে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। রবিবার সেদেশের পুলিস সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। মধ্য ও পূর্ব নেপালে খোঁজ মিলছে না ৩৫ জনের। ...

  নয়াদিল্লি, ১৪ জুলাই (পিটিআই): স্কুলের মিড ডে মিল খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। গত তিন বছরে গোটা দেশে মিড ডে মিল খেয়ে ৯০০ জনেরও বেশি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ...

সংবাদদাতা, ঘাটাল: রবিবার ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তা অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ওই সড়কের চাঁদপুর শিমূলতলায় অবরোধ করা হয়। অবরোধে আটকে পড়ে বিভিন্ন রুটের বহু যাত্রীবাহী বাস সহ অন্যান্য গাড়ি। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯১৮: সুইডেনের চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম
১৯৩৬: লেখক ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ হাসান তিলকরত্নের জন্ম
১৯৭১: মডেল মধু সাপ্রের জন্ম
১৯৭৫: সুরকার মদন মোহনের মূত্যু
২০০৩: অভিনেত্রী লীলা চিটনিসের মূত্যু
২০০৮: বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের মূত্যু

14th  July, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৭০ টাকা ৬৯.৩৯ টাকা
পাউন্ড ৮৪.২৯ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
ইউরো ৭৫.৮২ টাকা ৭৮.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
13th  July, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,১৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৩৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৩,৮৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  July, 2019

দিন পঞ্জিকা

৩০ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার, চতুর্দশী ৫১/৫০ রাত্রি ১/৪৯। মূলা ৩৪/২৮ রাত্রি ৬/৫২। সূ উ ৫/৪/২৫, অ ৬/২০/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২২ মধ্যে। রাত্রি ৯/১২ গতে ১৪/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ২/৫৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৪ গতে ৮/২৩ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪১ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/২২ গতে ১১/৪২ মধ্যে।
২৯ আষাঢ় ১৪২৬, ১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার, চতুর্দশী ৫০/৫৭/৪৯ রাত্রি ১/২৭/১৫। মূলানক্ষত্র ৩৬/২৫/৩৩ রাত্রি ৭/৩৮/২০, সূ উ ৫/৪/৭, অ ৬/২২/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/২৯ গতে ২/৫৫ মধ্যে, বারবেলা ৩/৩/১০ গতে ৪/৪৩/০ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪৩/৫৭ গতে ৮/২৩/৪৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/২৩/২০ গতে ১১/৪৩/৩০ মধ্যে। 
 ১১ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কোনও পুরানো রোগ থেকে সাবধানতা অবলম্বন করবেন। বৃষ: ধর্মাচারণে মতি আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮২০: সাহিত্যিক অক্ষয়কুমার দত্তের জন্ম১৯০৩: রানীতিক কে কামরাজের জন্ম১৯০৪: রুশ ...বিশদ

07:03:20 PM

টলিউডের এক অভিনেত্রীকে অশালীন মেসেজ, গ্রেপ্তার ১ 
টলিউডের এক অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন মেসেজ পাঠিয়ে ক্রমাগত উত্যক্ত ...বিশদ

06:55:49 PM

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান

06:10:00 PM

খুনের চেষ্টার অভিযোগে দিল্লির দ্বারকায় গ্রেপ্তার ১ 

04:51:00 PM

লাভপুরের আমনাহা গ্রামে পুলিসকে ঘিরে এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ 
বীরভূমের লাভপুর থানার আমনাহা গ্রামে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ...বিশদ

04:25:14 PM