বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
এবিষয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য শঙ্কর ঘোষ বলেন, প্রতি বছরই ডেঙ্গুর মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে এবার আমরা বাড়তি সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছি। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য কর্মী দ্বারা বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ নয়, স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনা শুরু করেছি। এটা স্পষ্ট যে পরিষ্কার জমা জলে ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়। শহরের কোথাও যাতে জল না জমে সেনিয়ে ইতিমধ্যে নজরদারি শুরু হয়েছে। তবে স্কুল, কলেজ সহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আমাদের কর্মীদের দিয়ে নজরদারি চালানো সম্ভব নয়। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সচেতন করার পাশাপাশি বৈঠক করে সতর্ক করে দিতে চাই। তবে তাতেও যদি পরিস্থিতির পরিবর্তন না হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের রঞ্জন সরকার বলেন, পূর্বেও এমন কথা শুনেছি। তবে আখেরে কোনও কাজ হয় না। শুধুমাত্র হম্বিতম্বিই সার। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্য সরকার সর্বোতভাবে পুরসভাকে সাহায্য করছে। যদিও পুর কর্তৃপক্ষকে এখনও সেভাবে ময়দানে দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে আমরা পৃথকভাবে ওয়ার্ডে ডেঙ্গু মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইলেও মিলছে না লোকবল। ফলে চরম দূর্ভোগে দিন কাটাতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এবছর পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিলিগুড়ি পুরসভা একাধিক পদক্ষেপ করার কথা জানালেও তা কবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেননা বর্ষার মরশুম শুরু হতেই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে নির্মীয়মাণ বহুতলের ছাদে জল জমতে শুরু করেছে। যা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্চ্য নেই বলেই প্রশ্ন তুলে ধরছেন বিরোধীরা।