বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
মণিদহ সহ আশপাশের এলাকায় হাতি হানার ঘটনা নতুন কিছু নয়। যার জন্য বনদপ্তরের পক্ষ থেকে হাতির মোকাবিলা করার জন্য হুলা দেওয়া হয়। হাতিকে এলাকাছাড়া করার জন্য গ্রামবাসীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। ফলে, আচমকা এলাকায় হাতি হানা দিলে মণিদহ সহ আশপাশের এলাকার মানুষ জোটবদ্ধ হয়ে দাঁতালকে তাড়া করেন। শনিবার রাত ১ টা নাগাদ কংসাবতী নদী পেরিয়ে ওই রেসিডেন্সিয়াল হাতিটি মণিদহ পঞ্চায়েত এলাকায় হানা দেয়।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, নদী পেরিয়ে হাতিটি প্রথমে মণিদহ গ্রামের ভিতরে ঢোকে। মুকুন্দ জানা ও নবগোপাল ঘোষের বাড়িতে বন্য হাতিটি হানা দেয়। দু’টি বাড়ির একাংশ ভেঙে দেয়। হাতি দিতে বোঝামাত্র বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়েন। তাঁদের চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশীরা জমায়েত হন। হুলা দিয়ে হাতি খেদাও অভিযানে নামেন। তাড়া খেয়ে হাতিটি গ্রাম ছেড়ে মাঠ দিয়ে চলে যায়। পরে, সে পাশের এনায়েতপুর গ্রামে হানা দেয়। সেখানে খাবারের খোঁজে একাধিক বাড়িতে সে তাণ্ডব চালায়।
জানা গিয়েছে, অমল দোলাই, রাজেশ দোলাই এবং সুকুমার দোলাইয়ের বাড়িতে বন্য হাতিটি চড়াও হয়। চাল, ডাল খেতে গিয়ে বাড়ির একাংশ ভেঙে সে পালিয়ে যায়। তবে, হাতিটি এখনও এলাকার বাসিন্দাদের আতঙ্ক দূর হয়নি। ওই এলাকা থেকে কিছুটা দূরে শুকনোখালি জঙ্গলে হাতিটি এখন রয়েছে।
মণিদহ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান অঞ্জন বেরা বলেন, খাবারের খোঁজে ওই রেসিডেন্সিয়াল হাতিটি পর পর দু’টি গ্রামে হানা দিয়েছিল। কয়েকটি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। তবে, হাতির হানায় কেউ জখম হয়নি। এলাকার মানুষের তাড়া খেয়ে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আসলে নদী পেরিয়ে হাতিটি মাঠে কোনও ফসল না পেয়ে খাবারের আশায় গ্রামে ঢুকেছিল। দু’টি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে রবিবার আমি কথা বলেছি। তাঁরা যাতে আর্থিক সাহায্য পান সেই বিষয়ে আমরা সবরকম উদ্যোগ নেব। আর হাতিটি এলাকার পাশের জঙ্গলে রয়েছে। ফলে, এলাকার মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি বন দপ্তরে জানিয়েছি।