বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
হাওড়া জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত। যার মধ্যে আমতা ১ নং ব্লকের রসপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অন্যতম। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে প্রবাহিত দামোদর নদের পাড় ঢালাই করলেও সেটি ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় এবং দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ায় এবারে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে নদীর পাড়ের ভাঙন রোধে বিকল্প পদ্ধতি হিসাবে ভাটিভার ঘাস বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেইমত রসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রসপুর গ্রামে ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ধরনের ঘাস বসানো হয়।
গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ব্লক প্রশাসন থেকে ঘাস দেওয়ার পর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ১০০ দিনের কাজে এইসমস্ত চারা নদীর পাড়ে বসানো হয়। প্রাথমিকভাবে প্রথম তিন মাস পরিচর্যার পর বর্তমানে ঘাসগুলির শিকড় মাটি ধরে রাখতে অনেকটাই সক্ষম হওয়ায় নদীর পাড়ের ভাঙন অনেকটাই রোধ করা গিয়েছে।
নদীর পাড়ে এই ধরনের ঘাস লাগানো সম্পর্কে রসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক নীলমণি সামন্ত বলেন, এই ধরনের গাছের শিকড় ১০/১২ ফুট মাটির নীচ পর্যন্ত চলে যাওয়ায় সহজেই পাড়ের ভাঙন রোধ করা যায়। এমনকী দীর্ঘদিন জলের নীচে থাকলেও এই ঘাস নষ্ট না হওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেকটা কমে যায়। তিনি আরও জানান, ঘাসগুলির শিকড় মাটির এতটাই গভীরে চলে যায় যে একজনের পক্ষে এটা তোলা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, ভাঙন রোধে ভাটিভার গাছ লাগানো সম্পর্কে রসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়ন্ত পোল্লে বলেন, সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে ঢালাই করে নদীর পাড় বাঁধাই হলেও ১/২ বছরের মধ্যে সেই পাড় ভাঙতে শুরু করে। আর সেক্ষেত্রে সেটাকে পুনরায় মেরামত করাটা ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় এই বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে সুফল পাওয়ায় আগামীদিনে আরও বেশি এলাকায় এই ধরনের ঘাস বসানো হবে।