বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, একটি বড় চুরির চেষ্টা করা হয়। তবে সঠিক সময়ে খবর চলে আসায় বড়সড় চুরির ঘটনা ঠেকানো গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল উত্তর থানার অদূরে ধাদকা এলাকায় এদিন গভীর রাতে সোনার দোকানে চুরির ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ২টো নাগাদ পাঁচ ছ’জনের দুষ্কৃতী দল স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিকাশ প্রসাদের দোকানে হানা দেয়। দোকানে লোহার দরজা ভাঙা হয়, কাটা হয় দেওয়ালের একাংশ। সেই সময় ঘটনাটি নজরে আসে স্থানীয় নিখিল রামের। তিনি বিষয়টি তাঁর দাদা রোহিত রামকে জানান। তিনি দোকানের কাছে যেতেই দেখেন দোকানের দরজা ভেঙে দোকানে ঢুকে পড়েছে একটি দুষ্কৃতী দল। অভিযোগ, এরপর তিনি চিৎকার করলে তলোয়ার হাতে ছুটে আসে দুষ্কৃতী দলটি। তিনি ছুটে বাড়িতে ঢুকে পড়েন। এরপরেই তাঁর বাড়ির সদস্যরা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুলিসকে খবর দেন। পুলিস খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হলে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলে আসেন দোকানের মালিকও। তাঁর দাবি শো-কেসে থাকা কিছু গয়না খোয়া গেলেও মূল ভল্টটি ভাঙতে বা নিয়ে পালাতে না পারায় বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। পুলিসি সক্রিয়তায় চুরি ঠেকানো গেলেও দেখা যায়, দরজা ভাঙার পাশাপাশি দেওয়ালের একাংশও কেটে দেওয়া হয়েছে। পিছনের একটি ফাঁকা মাঠও রয়েছে। কাটা দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে ভল্ট সহ গয়না লুট করার পরিকল্পনা ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। সোনার দোকানের দেওয়াল কাটার ঘটনায় বড় সড় কোনও চক্র রয়েছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ দৃঢ় হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এই থানা এলাকায় বেশ কিছু চুরির ঘটনা আগেও ঘটেছে। তাই আন্তঃরাজ্য কোনও চক্র রয়েছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তবে, এলাকায় একইভাবে হেরোইনে আসক্ত নেশাগ্রস্ত যুবকের সংখ্যাও প্রচুর। হেরোইনের সবচেয়ে ছোট পুরিয়ার দাম ১৪০ থেকে ১৫০টাকা। তাই নেশার অর্থ জোগাড়ের জন্যও একশ্রেণীর যুবক চুরি ও লুটের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। পুলিসের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, যেভাবে শহরের মধ্যে দোকানের দেওয়াল কাটার ঘটনা ঘটেছে, তাতে এলাকার অনেকেই আতঙ্কিত। স্থানীয় বাসিন্দারা সঠিক সময়ে পুলিসকে খবর না দিলে বড় ঘটনাও ঘটতে পারত বলে বাসিন্দাদের দাবি।
দোকানের মালিক বিকাশবাবু বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিসি সক্রিয়তায় বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেলাম। বেশকিছু গয়না খোয়া গিয়েছে। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।