ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
চাষিরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টি বা জলের অভাবে গাছের সজীবতা কমে যাচ্ছে। তাতে গাছের ফল ধারণের ক্ষমতা কমছে। জলের অভাবে মাঠে শুকিয়ে যাচ্ছে সব্জি থেকে পাটের চারা। করলা, ঝিঙে, পটল, উচ্ছে, শসা চাষ করে চাষিরা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন। রোদের কারণে ঝলসে যাচ্ছে গাছ। দীর্ঘদিন বৃষ্টি হয়নি। সেচের কাজ করতে গিয়েও চাষিদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জেলায় মূলত দু’ধরনের সেচের ব্যবস্থা আছে। নদীর জল পাম্পের সাহায্যে তুলে তা সেচের কাজে ব্যবহার করা যায়। আর দ্বিতীয়টি হল গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ জল তুলে তা ব্যবহার করা। কিন্তু, গরমের কারণে নদীর জল অনেকটা নেমে যাওয়ায় সেই জল তুলে চাষের সুযোগ খুবই কম। আর ভূগর্ভস্থ জল তুলে সেচের ব্যবস্থা করা ব্যয় সাপেক্ষ। তাই ফসল কীভাবে বাঁচিয়ে রাখবেন, তা নিয়ে চাষিরা কার্যত দিশেহারা।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ন’হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়। এর মধ্যে চার হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। দু’ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষ হয়। এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রবি শস্য চাষ হয়। এক হাজার হেক্টর জমিতে সব্জি চাষ হয়। মুসুর ডাল এক হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। তিল চাষ হয় এক হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। কলা চাষ হয় ৬০০ হেক্টর জমিতে। মুগ চাষ হয় ২০০ হেক্টর জমিতে। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল কীভাবে ঘরে তুলবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না চাষিরা। আগামী দু’-একদিনের মধ্যে বৃষ্টি হবে বলে আশা দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তাই আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাষিরা।
চাষি সুবিমল হালদার বলেন, ফসল জলের অভাবে নষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি দরকার। এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে সব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। আগে এক ঘণ্টা স্যালো মেশিন চালালে যে কাজ হতো, সেই কাজ এখন পাঁচ ঘণ্টাতেও হচ্ছে না। তাই সমস্যা হচ্ছে।
কৃষিদপ্তরের এক কর্তা বলেন, পলিথিন মালচিং করে সব্জি চাষ করলে এই ক্ষতি হতো না। প্রবল গরমের ফলে চাষিরাও শারীরিকভাবে সমস্যায় পড়ছেন। রোদে চাষিরা মাঠে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এতে কমছে ফসলের উৎপাদন। স্বাভাবিকভাবেই বাজারে দাম বাড়ছে।