ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
থার্মোমিটারের পারদ ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে। যা রেকর্ড। লু বইছে প্রতিদিন। প্রতিদিন শহরের মানুষ এসি কিনে বিদ্যুৎ দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন লোড বাড়ানোর জন্য। গত বছরের থেকে এবার বেশি সংখ্যক মানুষ এসির জন্য লোড বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন।
কাটোয়া বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ এমভিএ পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এখন এসি-র জন্য লোডের চাহিদা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ছে। কাটোয়া বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার ডিভিশনাল ম্যানেজার রাহুল আগরওয়ালা বলেন, এসি-র জন্য এবার অনেক বেশি আবেদন জমা পড়ছে। তবে এবার আমরা মিটার দেখলেই এসি মেশিন কেউ বিদ্যুৎ দপ্তরকে না জানিয়ে লাগিয়েছেন কিনা জানতে পারব।
শহরের একটি ইলেক্ট্রনিক্স শোরুম থেকে গড়ে প্রতিদিন ৫০টি এর কাছাকাছি এসি মেশিন বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এখন এসি মেশিন কেনা কোনও ঝক্কির কাজ নয়। ইএমআই দিয়ে এখন ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই এসি কেনা যাচ্ছে। প্রতিমাসে সহজ কিস্তিতে সবাই এখন এসি কিনছেন। শহরের বাসিন্দা নিমাই দাস, বাবু হালদার, গৌতম হালদার বলেন, যা গরম পড়েছে তাতে এসি না কিনে আর উপার কি বলুন। এদিকে এসি ইনস্টল করার মিস্ত্রি পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের ব্যস্ততা এতটাই বেড়েছে যে অনেকেই চাতকের মতো বসে অপেক্ষায়।
এদিকে কাটোয়ার দাঁইহাটে আবার অনেকেও এসি ভাড়া নিচ্ছেন তিন মাসের জন্য। মাসে দেড়-দু’ হাজার টাকা ভাড়া। শহরের দোকানগুলিতে বড় স্ট্যান্ড ফ্যান, কুলারও বিক্রি হচ্ছে দেদার। অগ্রদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, যেভাবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাড়ছে তাতে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। এসি কেনাটা স্থায়ী সমাধান নয়। গরমের হাত থেকে বাঁচতে হলে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। বিশেষ করে রাস্তার দু’ ধারে। আর সেই কাজে প্রত্যেককেই এগিয়ে আসতে হবে। আর তা না হলে আগামী দিনে আরও ভয়ানক পরিস্থিতি হবে।