Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। সেই প্রশ্ন রাষ্ট্র পরিচালকদের উদ্দেশে। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ পাই না। সেই সব প্রশ্ন তাই ওইসব সর্বোচ্চ পদে থাকা মানুষদের কানে পৌঁছয় না। তাঁরা যা যা বলবেন, আমাদের শুনতে হবে। অথচ আমরা যে তাঁদের কিছু বলব, সেই সুযোগ নেই। অতএব আমরা কী করি! নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করি। আমার পছন্দের দলের হয়ে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থককে আমি আমার অভিযোগ বলি। 
সে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। আমাকে পাল্টা তার দলের হয়ে আক্রমণ করে। তারপর আমরা নিজেদের ঝুলিতে থাকা সব অস্ত্র দিয়ে একে অন্যকে আক্রমণ করি। আমাদের জানতে ইচ্ছা করে, আমরা যে নানাবিধ ট্যাক্স দিই, জিএসটি দিই, সেস দিই, তার বিনিময়ে আমাদের রাষ্ট্র জীবনযাপনের কোনটা সুনিশ্চিত করে? খাবার? বাসস্থান? নিরাপত্তা? জীবিকা? কিন্তু আমরা তো নিজেরাই এসব দায়িত্ব পালন করার জন্য সকাল থেকে সারাদিন হন্যে হয়ে লেগে পড়ছি যে যার কাজে। সরকার কী করছে? সরকার কী বলে? তারা বলে, এই করদাতাদের টাকায় উন্নতি হয়। রাস্তা, উড়ালপুল, সেতু, যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর কী কী হয়? এই টাকায় গরিবদের জন্য নানাবিধ প্রকল্প করে সরকার। বিনামূল্যে চাল-গম দেয়। কৃষকদের অনুদান দেয়। ভর্তুকি দেয়। আমাদের দ্বিতীয় প্রশ্ন, তাহলে এই কাজগুলিকে এমনভাবে প্রচার করেন কেন যেন মনে হয় দেশবাসীকে খুব উপকার করা হচ্ছে? দেশবাসীর একাংশের টাকায় অন্য অংশের কল্যাণ করা হচ্ছে। আর বিভিন্ন পরিকাঠামো নির্মাণে খরচ করা হচ্ছে। তাহলে এই যে অংশটি কষ্টার্জিত টাকা সরকারকে দিচ্ছে, তারা সরকারের থেকে বিনিময়ে কী পাচ্ছে? 
আমাদের পরবর্তী প্রশ্ন কয়েকটি ধাঁধা নিয়ে। রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে একরকম। আর সেই প্রতিশ্রুতি পালনের রূপ বদলে যাচ্ছে কেন? এই ম্যাজিকের কারণ কী? যেমন? ২০১৫ সালে ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল ২০২২ সালের মধ্যেই কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। তা হল না। বরং কৃষক আত্মহত্যাই কিছু কিছু রাজ্যে দ্বিগুণ হয়ে গেল! এই তথ্য নতুন নয়। আসল কথা অন্য। প্রশ্ন হল, এই যে ২০১৫ থেকে ২০২২, কথা ছিল, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। সেটা না হয়ে উল্টে এই সময়সীমায় কৃষকদের জন্য সরকারের চালু করা ফসল বিমার প্রিমিয়াম থেকে দেশের প্রথম সারির বিমা কোম্পানিগুলির মুনাফা কীভাবে দ্বিগুণ হয়ে গেল? সরকারের খাতায় ১৩টি বেসরকারি বিমা সংস্থার নাম প্যানেলভুক্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০টি সংস্থা ২০২২ সালের মধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে ফেলেছে। অথচ সরকারি বিমা সংস্থা ওই একই সময়সীমায় লোকসান করেছে। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। এটা কী ব্যাপার হল? কীভাবে হল? প্রিমিয়াম বাবদ বিমা সংস্থাগুলি আদায় করেছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। আর বিমার টাকা কৃষকদের দেওয়া হয়েছিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এই তথ্য নতুন নয়। আগেই জানা। কিন্তু নতুন প্রশ্ন হল, ঠিক তারপরই গত এক দেড় বছরের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি বিমার প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দেওয়া হল কেন? লাভ তো করবে আবার ওইসব বিমা কোম্পানি? প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা। দুই প্রকল্পেই কৃষকদের প্রদেয় প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন? ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল, সকলের ঘরে বিদ্যুৎ যাবে। আর বিদ্যুৎ হবে উদ্বৃত্ত এবং সস্তা। আদতে ২০২৪ সালে আমরা কী দেখেছি? বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির সিংহভাগের বিগত দেড় বছর ধরে ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক মুনাফা দেড় দু-গুণ করে বেড়ে গিয়েছে। এনার্জি সেক্টরের শেয়ার এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ সকলের ঘরে বিদ্যুৎ আসেনি। কারণ কী? সকলের ঘরে পানীয় জলের সংযোগ যাবে ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। কিন্তু বিগত ৬ বছরে গড়ে ২৭ শতাংশ করে বেড়েছে ওয়াটার ইকনমি। মানে বোরওয়েল, বটলড ওয়াটার এবং ট্যাঙ্কার ইন্ডাস্ট্রি। কারণ কী? 
আমাদের সামান্য সঞ্চয়ের টাকা আমরা হয়তো সরকারি ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করেছি। সেই টাকা নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য করা হয়। সেই টাকা হঠাৎ কোনও কারণে দরকার পড়ল। আমরা ম্যাচিওরিটির আগেই তুলে নিতে চাইলাম। আমাদের থেকে সরকারি ব্যাঙ্কও কিছু পরিমাণ জরিমানা কেটে নেয় কেন? আমার টাকা, আমি তুলে নিতে পারব না? সরকারি ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করতে গেলে, বারংবার মিউচুয়াল ফান্ড কিংবা অন্য শেয়ার মার্কেট লিঙ্কড ইনভেস্টমেন্টের দিকে গ্রাহকদের ঠেলে দিতে চান কেন? সরকারের ফিক্সড ডিপোজিট প্রকল্প অথবা স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পকে সেরকম লাভদায়ক নয় বলে খোদ সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী অফিসাররাই  কেন সেগুলোয় প্রবেশ করতে উৎসাহপ্রদান করেন না? গ্রাহককে ঝুঁকিবহুল শেয়ার মার্কেটের রিটার্নের দিকে প্রলুব্ধ করা হয় কেন? এরকম মনোভাব আজ থেকে ১০ বছর আগে তো দেখা যেত না সেরকম? ট্রেনের টিকিট কেটেছি। কোনও কারণে যাত্রা করতে পারব না। এত মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করে কেন রেল? ক্যান্সেলেশন চার্জ হিসেবে? এই যে মাঝখানে 
জানা গেল, রেস্তরাঁয় বাধ্যতামূলক পরিষেবা ট্যাক্স দিতে হবে না, সেটা বন্ধ হয়ে গেল কেন? এই যে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের জিএসটি বেশি বেশি, এর কারণ কী?
আমরা এসব প্রশ্ন করতে পারি না। কিন্তু উত্তর জানি। উত্তর হল, রাষ্ট্র বা সরকার আসলে দেশবাসীকে বোকা মনে করে। তাদের থেকে যথাসম্ভব অর্থ আদায় করে নেওয়াই রাষ্ট্রের আপাতত একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সাম্প্রতিককালে কোনওদিন দেখতে পাইনি যে, সরকার আমাদের কোনও একটি আর্থিক বোঝা কমিয়ে দিল। অনায়াসে পেট্রল ডিজেলের দাম অনেক মাস আগে কমিয়ে দেওয়া যেত। কমানো হয়নি। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করে নিয়েছে সরকার আমাদের থেকে। ভোটের সময় সামান্য কমিয়ে আমাদের আবার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আমরা তোমাদের বোকাই ভাবি। এই যে দাম কমালাম, আমরা চাই ও জানি তোমরা আমাদের এজন্য ভোট দেবে।রাষ্ট্র আমাদের ধর্মীয় সম্প্রদায়ভিত্তিক উস্কানি দিচ্ছে কেন? আমাদের এটা একটা প্রশ্ন। অর্থাৎ রাষ্ট্র তথা সরকার তথা পরিচালকরা ঠিক কী চায়? আমরা একে অন্যের উপর প্রবল আক্রমণাত্মক হয়ে উঠি তাদের ওই গরম গরম প্ররোচনামূলক কথা শুনে? তারপর কী হবে? আমরা আপনাদের কথা শুনে পরস্পরের সঙ্গে মারামারি কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়লাম খুব উত্তেজিত হয়ে গিয়ে। পরস্পরের কিছু কিছু প্রাণহানি হল। সম্পত্তির ক্ষতি হল। বহু জীবন ধ্বংস হয়ে গেল। তারপর কী? আপনারা রাষ্ট্রের সিংহাসনে বসলেন। আমাদের কী লাভ হবে?  
আপনারা উঁচু মঞ্চ থেকে কখনও বলছেন, দেশ ২০৪৭ সালে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে। তাই আমাদের এখন থেকেই পরিশ্রম করতে হবে। স্যাক্রিফাইস করতে হবে। কারণ এটা নাকি কর্তব্যকাল! আমাদের প্রশ্ন, কেন করতে হবে? আপনারা কী এমন স্যাক্রিফাইস করছেন? আমরা আপনাদের ভোট দিচ্ছি, ট্যাক্স দিচ্ছি, জিএসটি 
দিচ্ছি, আপনারা আমাদের জীবনকে আরামদায়ক করে দেবেন বলে। আমরা তো আশা করেছিলাম এমন একটা ব্যবস্থা করে দেবেন, যাতে সকলের আয় এক ধাক্কায় বেড়ে যায়। সকলের চাকরি পাওয়া সুবিধা হয়ে যায়। বেকারত্ব কমে যায়। জিনিসপত্রের দাম কমে যায়। কিছুই তো হল না। ও হ্যাঁ, সেই যে ২০২২ সালের জুন মাসে বলেছিলেন দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি হবে! সব সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ হয়ে যাবে! সেই প্রতিশ্রুতির কী হল? আজকাল আর বলেন না কেন? আমাদের সবথেকে বড় প্রশ্ন হল, আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার কথা সত্যিই কি আপনাদের আছে? নাকি আমাদের দাবার বোড়ের মতো অবিরত ব্যবহার করে করে আসলে নিজেদের ভাগ্যকেই বারংবার জিতিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়ে আমাদের ভাগ্যনিয়ন্তা হতে চা‌ইছেন? 
03rd  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
একনজরে
হাতে মোটামুটি সপ্তাহ দুয়েক সময় আছে। এই শেষ লগ্ণে প্রচারে গতি তুলেছেন ভোট প্রার্থীরা। একদিকে প্রবল গরম। অন্যদিকে লাগাতার প্রচার করে যাওয়ার ক্লান্তি রয়েছে প্রার্থীদের ...

রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থর বিদ্যুতের মাশুল সংক্রান্ত নতুন চার্ট প্রকাশিত হয়েছে। তা কার্যকর হয়েছে গত এপ্রিল মাস থেকে। এনিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দাবি ...

ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। কারাকোরাম পর্বত ঘেরা গিলগিট-বালটিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাস সিন্ধু নদে পড়ে গেলে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এছাড়াও জখম হয়েছে আরও ২১ জন। ...

ওয়ান ডে এবং টি-২০ ক্রিকেটে আইসিসি’র বার্ষিক র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান বজায় রাখল টিম ইন্ডিয়া। তবে টেস্ট ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিংহাসন খোয়ালেন রোহিত শর্মারা। বাকি দলগুলির কোনও পরিবর্তন হয়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫০২: ক্রিস্টোফার কলম্বাসের কোস্টারিকা আবিষ্কার
১৬২৬:  ডাচ অভিযাত্রী পিটার মিনিট ম্যানহাটন দ্বিপে প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে পা রাখেন, যেখানে আজকের নিউ ইয়র্ক শহর অবস্থিত
১৭৯৯: মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা টিপু সুলতানের মৃত্যু
১৮০০: কলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিধিবদ্ধ আইনে সম্মতি প্রদান করা হয়
১৮৪৯: বাঙালি নাট্যকার, সঙ্গীতস্রষ্টা, সম্পাদক ও চিত্রশিল্পী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৮৬: হে মার্কেট স্কোয়ার হিংসা: শিকাগো, ইলিনয় সহ বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে সচেষ্ট পুলিসকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ, ৮ জনের মৃত্যু, আহত ৬০, জনতাকে লক্ষ্য করে পুলিসের গুলি
১৮৮৯: সাহিত্যিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯০৪: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল নির্মাণ শুরু করে
১৯৪২: ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসানির্বাহী এবং নীতি সৃষ্টিকর্তা স্যাম পিত্রোদার জন্ম
১৯৫৩: ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি গ্রন্থের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পেলেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
১৯৫৯: প্রথম গ্র্যামি পুরস্কার দেওয়া হল
১৯৭২: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ এডয়ার্ড কেলভিন কেন্ডালের মৃত্যু
১৯৭৯: ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন মার্গারেট থ্যাচার



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৭ টাকা ৮৪.৩১ টাকা
পাউন্ড ১০৩.০১ টাকা ১০৬.৪৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০০ টাকা ৯১.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ মে ২০২৪। একাদশী ৩৮/৫৩ রাত্রি ৮/৩৯। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪২/৩৩ রাত্রি ১০/৭। সূর্যোদয় ৫/৬/৪, সূর্যাস্ত ৬/০/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/২৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৪ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে উদয়াবধি।
২১ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ মে ২০২৪। একাদশী সন্ধ্যা ৫/৫১। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/৪৬। সূর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/২। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে।
২৪ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে চার উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

11:00:29 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে চার ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন লিটল

10:45:30 PM

আইপিএল: ৪২ রানে আউট বিরাট কোহলি, বেঙ্গালুরু ১১৭/৬ (১০.৪ ওভার) টার্গেট ১৪৮

10:42:36 PM

আইপিএল: ১ রানে আউট গ্রিন, বেঙ্গালুরু ১১১/৫ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ১৪৮

10:38:02 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, বেঙ্গালুরু ১০৭/৪ (৮ ওভার) টার্গেট ১৪৮

10:31:28 PM

আইপিএল: ২ রানে আউট রজত পাতিদার, বেঙ্গালুরু ১০৩/৩ (৭.৩ ওভার) টার্গেট ১৪৮

10:27:09 PM