ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাষ্টগড়া গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। ১৩ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে বিজেপির ঝুলিতে আসে সাতটি আসন। তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী পান তিনটি করে আসন। একইভাবে এই অঞ্চলের তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে দু’টি পায় বিজেপি, একটি তৃণমূল। জেলা পরিষদের আসনে ভোটের ক্ষেত্রে প্রায় ৩০০ ভোটে পিছিয়ে পড়ে শাসক দল।
এদিন সেই অঞ্চলেই প্রচারে ঝড় তুললেন শতাব্দী রায়। প্রচুর মানুষ বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটে ফল খারাপ হওয়ার পর থেকেই সাংগঠনিক দিক থেকে এই অঞ্চলে বিশেষ নজর দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এরই মধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দলে মহিলাদের সম্মান নেই বলে অভিযোগ তুলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন পঞ্চায়েতের প্রধান তথা বিজেপির মহিলা মোর্চার ব্লক সভানেত্রী পিঙ্কি মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে যোগে দিয়েছেন জেলা সম্পাদিকা তথা পঞ্চায়েত সদস্য সুখী হেমব্রম। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি দলের লোকদের হাতেই তাদের মহিলা প্রধানকে বারবার হেনস্তার বিষয়টি মেনে নিতে পারেন সেখানকার মহিলারা। সেই কারণেই অনেকে বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। যার ছবি ধরা পড়ল শতাব্দীর সভায়।
এদিন তৃণমূল প্রার্থী এই অঞ্চলের সোঁয়াশা, গুগ ও কাষ্ঠগড়া গ্রামে সভা করেন। কাষ্ঠগড়া গ্রামে বক্তব্যে তিনবারের সাংসদ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে কথা রাখেন। তিনি জরকার্ডের একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অনেকে বলেছিল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বাস্তবে আপনারা সেই টাকা পেয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়িয়েছেন। আবার ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা দেবেন বলেছেন। সেটাও আপনারা পেয়ে যাবেন। শতাব্দী বলেন, সব দল এসে বলে ভোট দাও, এটা, ওটা করে দেব। আমাদের দল কিন্তু বলেনি ভোট দাও, তবেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়াব। এপ্রিল মাসে বর্ধিত হারে টাকা পেয়েছেন। এই মাসেও পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোনও মূল্যে জনগণকে দেওয়া কথা রাখেন। তাই আপনারাও দিদির সঙ্গে থাকুন। উপচে পড়া ভিড় প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, মানুষ বিজেপিকে দেখছেন, বুঝছেন। তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি নিয়ামত শেখ বলেন, এখান থেকে মোদির সভায় অনেকেই যাননি।
যদিও এলাকার বিজেপি নেতা প্রবোধ সাহা বলেন, ওরা বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিলি করে বলছে তিনমাসের মধ্যে বাড়ি তৈরির টাকা মিলবে। মানুষ সেই মিথ্যা ভাঁওতাকে সত্যি ভেবে ওদের পিছনে দৌড়চ্ছে। এই অঞ্চল থেকে খুব বেশি লোক যে মোদির সভায় যাননি, সেটা স্বীকারও করেছেন প্রবোধবাবু। তাঁর দাবি, প্রায় ২৫০ জন গিয়েছেন। আরও লোক যেতেন। কিন্তু বাস পাওয়া যায়নি।