ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
ঘাটাল পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল। তাঁর দাবি, ‘ঘাটাল কলেজে পড়ার সময় থেকেই আমি ভোটে দাঁড়াচ্ছি। তখন জাতীয় কংগ্রেস করতাম। তারপর থেকেই নির্দলে দাঁড়াচ্ছি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্দলে দাঁড়িয়েছিলাম। প্রচারও করছিলাম। ২০২১ সালের বিধানসভায় কলকাতার রাজারহাট থেকে দাঁড়িয়েছিলাম। পরের বছর ঘাটাল লোকসভার ১৬নম্বর ওয়ার্ড থেকেও নির্দলে লড়েছি। কিন্তু এবার সব ভেস্তে গেল।’ কেন? শুক্রবার কালেক্টরেট চত্বরে দাঁড়িয়ে গোপালের দাবি, ‘নির্দলে দাঁড়াতে গেলে প্রস্তবক হিসাবে ১০জনকে নিয়ে আসতে বলেছিলেন কমিশনের কর্তারা। সেইমতো আমি রাধানগরের একটি বাজনার দলকে ভাড়া করি। প্রত্যেককে ভোটার কার্ড আনতে বলেছিলাম। বলেছিলাম, বাজনা কম বাজালেও চলবে। আমার প্রস্তাবক হিসাবে সই করতে হবে। ওরা রাজিও হয়েছিল। কিন্তু মনোনয়নকেন্দ্রে ঢুকে হঠাৎ বেঁকে বসে।’শুক্রবার কালেক্টরেট চত্বরেই গোপালের সঙ্গে বাজনার দলের সদস্যদের ব্যাপক গন্ডগোল বেঁধে যায়। বাজনার দলের প্রধান জিতেন দাস বলেন, আমরা কেন সই করব? আমরা বাজনা বাজাতে এসেছি, বাজনাই বাজাব।
জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে লোন সংগ্রহের কাজ করেন গোপাল। বাড়িতে বাবা-মা আছেন। বিয়ে করেননি। কেন ভোটে দাঁড়াচ্ছেন? গোপালের জবাব, ‘ছেলেরা চাকরি পাচ্ছে না। সরকার দুর্নীতি করছে। মন্ত্রীরা জেলে রয়েছে। তাই জনগণই আমাকে দাঁড়াতে বলে।’
গোপাল মণ্ডল।-নিজস্ব চিত্র