ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
অরূপবাবু বলেন, জ্যোতিষী নমিনেশন জমা দেওয়ার নির্ঘণ্ট বলে দিয়েছিলেন। তাই নির্দিষ্ট সময়ে গিয়েছি।
সুজাতাদেবী বলেন, সকালে বাবা মাকে প্রণাম করে নমিনেশন করতে বেরিয়েছি। মায়ের হাতে তৈরি পায়েস খেয়েছি। তৃণমূল কংগ্রেস মা-মাটি- মানুষের কথা বলে। এদিনের কর্মসূচিতে সবই আমার সঙ্গী।
বিজেপি, সিপিএম সব প্রার্থীই ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদিন বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন ঘিরে বাঁকুড়া শহর কার্যত উৎসবের চেহারা নেয়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশে শোভাযাত্রা ছিল বর্ণময়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মীরা বাস ও অন্যান্য গাড়িতে করে এদিন বাঁকুড়ায় গন্ধেশ্বরী নদীর ধারে জমায়েত করেন। সেখান থেকেই মিছিল শুরু হয়। বাঁকুড়া শহরের বাজার ঘুরে জেলাশাসকের অফিস চত্বরে এসে তা শেষ হয়। একটি সুসজ্জিত পিকআপ ভ্যানে ছিলেন দুই প্রার্থী। তাঁরা ভোট প্রার্থনা করতে করতেই শোভাযাত্রা করেন। এদিনের মিছিল ছিল রঙিন। সেখানে ছৌ নাচ, আদিবাসী নাচ, ধামসা মাদল, রণপা সহ বিভিন্ন বাদ্য যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখা হয়। তাছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের উপভোক্তারাও হাজির হন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রমাণ সাইজের মডেল রাখা হয়। এছাড়া সুদীর্ঘ বেশ কয়েকটি দলীয় পতাকাও শোভাযাত্রায় নজর কেড়েছে।
বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী এদিন শোভাযাত্রায় প্রচারের পাশাপাশি কর্মীদের ম্যানেজমেন্টও করেছেন। বৃহস্পতিবার অনেক রাত পর্যন্ত তিনি নমিনেশনের প্রস্তুতি নেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিবারকে নিয়ে সতীঘাট এলাকায় হনুমান ও ছিন্নমস্তা মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। তারপরই তিনি শোভাযাত্রার স্থলে চলে যান। গরম ও রোদের কথা ভেবে সেখানে কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত জল, তরমুজ, মুড়ি, ঘুগনি ও ছাউনির ব্যবস্থাও রাখা হয়। সেইসব তদারকি করেন অরূপবাবু। এদিন তাঁর পরনে ছিল ধুতি, পাঞ্জাবি। দুপুর সাড়ে ১২টার কিছু পরে তিনি জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস চত্বরে ঢোকেন। কিন্তু, জ্যোতিষীর কথামতো ঘড়ি ধরে দুপুর ১২টা বেজে ৫১মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। তারপর তিনি অফিসে ঢোকেন। • নিজস্ব চিত্র