ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের আড়াল করতেই গাছ কাটায় জড়িতদের নামে অভিযোগে জানানো হয়নি। অভিযোগ পেয়ে চুরির মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিষয়টি বনদপ্তরকেও জানানো হয়েছে। বনদপ্তরের একটি টিম ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়েছে। পার্কের গাছ কেটে পাচার নিয়ে সরব হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট। সংগঠনের তরফে সভাপতি শমিত দলুই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিতকুমার চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জানার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। বনদপ্তরকেও ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। গাছ কাটায় কে বা কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এনিয়ে উপাচার্যের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।
বর্ধমানের ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পরই লোক পাঠানো হয়েছিল। কিছু গাছ কাটা হয়েছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এনিয়ে বর্ধমান থানায় কেস রুজু হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কৃষ্ণসায়র পার্কের বেশ কয়েকটি পুরনো গাছ কেটে ফেলা হয়। গাছ কেটে ডাল পাচার করা হয়েছে। কিছু গুঁড়িও ভ্যানে করে পাচার করা হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তাঁরা এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রভাবশালীরা গাছ কাটায় জড়িত। এর আগেও পার্ক থেকে গাছ কেটে পাচার করা হয়েছে। কিন্তু, জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রেও সবার সামনে গাছ কাটা চলছিল। কয়েকদিন ধরে তা চলেছে। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় বা বনদপ্তর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। প্রভাবশালীদের চাপে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। -নিজস্ব চিত্র