ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
এদিন সভায় বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। তিনি দাবি করেন, বিজেপি কর্মীদের ফোন করে ভয় দেখানো হচ্ছে। যারা ভয় দেখাচ্ছে, তাদের বলছি সবার নম্বর সেভ করে রাখছি। ভোটের পর সুদে আসলে বুঝিয়ে দেব। এখানে পাঁচ বছর থাকার জন্য আমি এসেছি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে জেলার রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। পুলিস কর্মীদের নাজেহাল হতে হয়েছে। বাইরের জেলা থেকে পুলিস কর্মী এনে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। এদিন যযুধান দু’পক্ষ একে অপরের দিকে বাক্যবাণ ছুড়ে দেয়। মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আবেগতাড়িত হতে দেখা যায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আমার লালসা নেই। একবার প্রধানমন্ত্রী হলেই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখা হয়ে যায়। উপভোগ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে চাইনি। দেশের সেবা করতে চেয়েছি। আমার আগে-পিছনে কেউ নই। পুরো দেশ আমার পরিবার। আপনাদের সবার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করব। গরিব মানুষের সমস্যা দেখে আমার পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায়। গরিব পরিবার থেকেই উঠে এসেছি। ভারত শক্তিশালী হলে সবার আয় বাড়বে। তৃণমূলনেত্রী কটাক্ষ করে বলেন, উনি শুধু নিজের আত্মপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন। টিভি খুললেই ওঁর মুখ। তিনি প্রচারক হয়ে যাবেন। শুধুই মিথ্যা কথা বলেন।
এদিন তালিতের মাঠে প্রায় ২৫ মিনিট ধরে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন। তিনি মঞ্চে আসার আগে কবিয়াল প্রার্থী গান গাইতে চেয়েছিলেন। রসুলপুরে অমিত শাহর সভায় তিনি তেমনটাই করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সভায় তাঁর আশাভঙ্গ হয়েছে। অনেকেই বলছেন, গান গাইতে না দিয়ে বাংলার সংস্কৃতিতে আঘাত করা হয়েছে। হারমনিয়াম নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় ঢোকার পরও নিরপত্তা বিঘ্নিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সভায় কেন বাধা দেওয়া হল তা ভেবে পাচ্ছিলেন না অসীমবাবুও।