Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। অথচ বাংলায় শূন্য হওয়া সত্ত্বেও ৪২টি আসনে প্রার্থী দিলেও তাঁরা ‘ভোট কাটুয়া’ নন! উল্টে তাঁরাই নাকি আসল জোট ‘ইন্ডিয়া’! বাংলায় বিজেপি বিরোধী জোটের ধারক ও বাহক। কিন্তু লোকে বলছে, বঙ্গের ‘ইন্ডিয়া’ই হল আসল ‘ভোট কাটুয়া’। তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ভেঙে বিজেপির সুবিধে করে দেওয়াই জোটের উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের জোর টক্কর এমন আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়েছে জোট।
একুশের ভোটের আগে সিপিআই(এমএল)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেছিলেন, বিজেপিই বামেদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। অধিকাংশ বামপন্থী নেতা সেটাই বিশ্বাস করেন। ব্যতিক্রম একমাত্র সিপিএম। তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই চৌপাট হয়েছে তাদের ৩৪ বছরের সুখের রাজ্যপাট। 
তাই তৃণমূলকে ‘শিক্ষা’ দিতে গত বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছিল সিপিএম। উদ্দেশ্য, সংখ্যালঘু ভোট ভাঙা। কিন্তু পারেনি। উল্টে নিজেরাই শূন্য হয়েছে। তা সত্ত্বেও মমতা বিরোধী লড়াইয়ে একটুও অরুচি জন্মায়নি। লোকসভা নির্বাচনেও আইএসএফকে সঙ্গী করতে চেয়েছিল। কিন্তু আসন নিয়ে বোঝাপড়া হয়নি। আইএসএফ জোট ছাড়ায় তৃণমূলের মুসলিম ভোটে থাবা বসাতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে সিপিএম ও তার দোসর বঙ্গ কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরাজ্যে বামেদের শুধু হাঁড়ির হাল করেননি, কংগ্রেসকেও সাইনবোর্ডে পরিণত করেছেন। তাই উভয় দলই ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’ নীতি মেনে চলছে। একদা কংগ্রেস-সিপিএম সম্পর্কটা আদায় কাঁচকলায় হলেও এখন তারা ‘মিত্র’। উভয়েরই লক্ষ্য সংখ্যালঘু ভোট কেটে তৃণমূলকে দুর্বল করা।
বিধানসভা ভোটে যারা একটি আসনেও জিততে পারে না, তারা লোকসভা ভোটে দারুণ ফল করবে, এমনটা সম্ভবত বাম-কংগ্রেস জোটের অতি বড় সমর্থকও আশা করেন না। তবে জয়, পরাজয় যাই হোক, সব রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে লড়ে। কারণ নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই যাচাই হয় রাজনৈতিক দলগুলির জনসমর্থন। তাই রাজ্যের সব আসনে কংগ্রেস-সিপিএম জোট প্রার্থী দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রহস্যটা লুকিয়ে আছে কিছু কেন্দ্রের প্রার্থী নির্বাচন ও তাঁদের কৌশলী প্রচারে।
কংগ্রেস-সিপিএম জোট বেশকিছু আসনে এমন প্রার্থী দিয়েছে যাতে বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূলের ক্ষতি করাই তাদের উদ্দেশ্য। আর বাংলায় তৃণমূলের ক্ষতি হলে লাভ কার? বিজেপির। কারণ এরাজ্যে মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের। কংগ্রেস-সিপিএম জোট যত বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছে এরাজ্যে বিজেপি ততই শক্তিশালী হয়েছে। 
যে কোনও দেশে বা রাজ্যে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। বাংলায় সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই বিজেপির রোষানলে পড়েছেন মমতা। তাঁর গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘সংখ্যালঘু তোষণকারী’ তকমা। সেই কাজে বিজেপি কিছুটা সফলও হয়েছে। সিপিএম ও কংগ্রেসের সৌজন্যে বিজেপি এরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। এবার সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের লক্ষ্য সংখ্যালঘু ভোট ভাঙা। সে কাজে সফল হলে বাংলায় তাদের ‘শূন্য’ করে দেওয়ার জ্বালা হয়তো কিছুটা মিটবে, কিন্তু লাভবান হবে কে? সেই বিজেপিই।
অধীর চৌধুরী বরাবর কট্টর মমতা বিরোধী। তিনি কখনওই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সখ্য পছন্দ করেন না। জাতীয়স্তরে মোদি বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস হাইকমান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। এমনকী, বাংলায় এককভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও হাইকমান্ড মমতার ব্যাপারে আগ্রহী। কিন্তু অধীরবাবু লাগাতার তৃণমূলকে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ তাঁর রাজনীতিতে টিকে থাকার একমাত্র শর্ত, মমতা বিরোধিতা। তাই তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস হাত মেলাক, সেটা তিনি কখনওই চান না। তার উপর বহরমপুর কেন্দ্রে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে তৃণমূল প্রার্থী করায় অধীরবাবু তেলেবেগুনে জ্বলছেন। অধীরবাবুর সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাবেন ইউসুফ। সম্ভবত সেই আশঙ্কাতেই তৃণমূলের জয়ের পথে কাঁটা ছড়াতে মরিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
অনেক অঙ্ক কষে মুর্শিদাবাদ আসনে প্রার্থী হয়েছেন মহম্মদ সেলিম। গতবার এখানে চতুর্থ স্থানে ছিল সিপিএম। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস এই আসনটি সেলিম সাহেবকে ছেড়েছে। হাত শিবিরের আশা, সেলিম মুর্শিদাবাদে প্রার্থী হওয়ায় সংখ্যালঘু ভোট পেতে কংগ্রেসের সুবিধে হবে। তবে, সেই অঙ্ক মিলবে কি না, সেটা বোঝা যাবে ৪ জুন।
গতবার রায়গঞ্জে জিতেছিল বিজেপি। এবার এটা বিজেপির জন্য ‘টাফ সিট’। তাই সিটিং সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে এখানে প্রার্থী করেনি। তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিজেপি থেকে আসা কৃষ্ণ কল্যাণীকে। কংগ্রেস প্রার্থী করেছে ২০২১ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে পরাজিত আলি ইমরান রমজকে(ভিক্টর)। তিনি বামফ্রন্টের প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ আলি সাইরানির ভাইপো। অনেকেই বলছেন, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট কাটতেই কংগ্রেসের পোড়খাওয়া নেতার বদলে ভিক্টরকে প্রার্থী করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ লোকসভার অন্তর্গত চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর সংখ্যালঘু প্রভাবিত। এছাড়াও করণদিঘি ও ইসলামপুরে প্রচুর মুসলিম রয়েছেন। রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল এবং বিজেপি দলের প্রার্থীরা হিন্দু। তাই কংগ্রেস বেশি প্রচার চালিয়েছে সংখ্যালঘু প্রভাবিত এলাকায়। উদ্দেশ্য, মুসলিম ভোট টানা। আর সেটা করতে পারলেই তৃণমূলের ক্ষতি। কিন্তু বেনিফিট? বিজেপির।
মালদহ উত্তর কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপির খগেন মুর্মু। এবারও খগেনবাবুই বিজেপির প্রার্থী। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী পুলিসের আইজির চাকরি ছেড়ে আসা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ। এখানেও সেই একই অঙ্ক। সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করা। কংগ্রেস সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসালে লাভ হবে কার? বিজেপির। দিল্লির ক্ষমতা দখলের দৌড়ে পিছিয়ে পড়বে কে? কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও তৃণমূলকে আটকাতে মরিয়া বঙ্গ কংগ্রেস। কারণ এখানে বিজেপি নয়, কংগ্রেসের টার্গেট মমতা।
গতবার বোলপুরের চেয়ে বীরভূম কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ের মার্জিন কম ছিল। অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি। তাই বীরভূমের দু’টি আসনের দিকে নজর ছিল বিজেপির। তারমধ্যে এক নম্বরে বীরভূম কেন্দ্র। গতবার এই কেন্দ্রের দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া, সিউড়ি ও রামপুরহাট এলাকায় এগিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সংখ্যালঘু প্রভাবিত হাসন, নলহাটি এবং মুরারইয়ে তৃণমূলের ভালো লিডের জোরে জিতে যান শতাব্দী রায়। এখানেও সংখ্যালঘু ভোট জোট কিছুটা কব্জা করতে পারলেই তৃণমূল চাপে পড়বে। আর তাতে সুবিধা সেই বিজেপিরই। তাতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে জোট ‘ইন্ডিয়া’র। সেই জোটের নেতা কে? কংগ্রেস।
বেশ কিছুদিন ধরেই বঙ্গ বিজেপি আওয়াজ তুলছে, ‘নো ভোট টু মমতা’। কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্ব প্রকাশ্যে সেই সুরে সুর মেলায়নি, কিন্তু তলে তলে সেই কাজই করে যাচ্ছে। উনিশ থেকে শুরু হয়েছে বামের ভোট রামে পাঠানো। ভোট শিফ্টিং করিয়েও মমতাকে টলানো যায়নি। তাই এখন যে কোনওমূ঩ল্যে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ভাঙতে চাইছে। এই কাজে তাদের উৎসাহ জুগিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের ফল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেস-সিপিএম জোট কিছু এলাকায় সাফল্য পেয়েছে। কিছু পঞ্চায়েত দখলও করেছে। তারমধ্যে কয়েকটি সংখ্যালঘু এলাকায়। সেই অঙ্কেই লোকসভা ভোটে বুক বাঁধছে জোট নেতৃত্ব। 
লোকসভা নির্বাচন শুরু হতেই প্রধানমন্ত্রীর খোলস ছেড়ে মোদি হয়ে উঠেছেন বিজেপি নেতা। বিভাজনের ভিত মজবুত করতে তিনি সরাসরি মুসলিম সম্প্রদায়কে আক্রমণ করছেন। আর তাতেই সংখ্যালঘুদের কাছে এটা হয়ে গিয়েছে ‘মোদি, অর নো ভোট টু মোদি’র নির্বাচন। এটা ব্যক্তিগত ঝাল মেটানোর কোনও নির্বাচন নয়। তাই পঞ্চায়েতের জের টেনে লোকসভা ভোটের অঙ্ক কষলে, তা মিলবে না কিছুতেই।
সিপিএম এবং কংগ্রেস জোট যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করতে মরিয়া তখন হাত গুটিয়ে বসে নেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘও। তারা রীতিমতো লিফলেট ছড়িয়ে প্রচার করছে, ‘আঞ্চলিক দলকে সমর্থনের অর্থ, ভোট নষ্ট করা।’ উদ্দেশ্য স্পষ্ট, তৃণমূলকে বাদ দিয়ে ভোট দাও অন্যদের। এর অর্থ, ‘নো ভোট টু মমতা’ ইস্যুতে বাংলায় আরএসএস, সিপিএম-কংগ্রেস মিলেমিশে একাকার। এই জন্যই বলে, সব শেয়ালের এক রা।
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
একনজরে
ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। কারাকোরাম পর্বত ঘেরা গিলগিট-বালটিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাস সিন্ধু নদে পড়ে গেলে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এছাড়াও জখম হয়েছে আরও ২১ জন। ...

আদানি গোষ্ঠীর ছয়টি সংস্থাকে শোকজ নোটিস পাঠাল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা সেবি। লেনদেনের ক্ষেত্রে নিয়ম না মানা, শেয়ার সংক্রান্ত অসঙ্গতি সহ একাধিক কারণে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। ...

ওয়ান ডে এবং টি-২০ ক্রিকেটে আইসিসি’র বার্ষিক র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান বজায় রাখল টিম ইন্ডিয়া। তবে টেস্ট ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিংহাসন খোয়ালেন রোহিত শর্মারা। বাকি দলগুলির কোনও পরিবর্তন হয়নি। ...

ভাঙা ঘরে যেন চাঁদের আলো! খড়ের চালার চিলতে ঘর। ঠাসাঠাসি বাস তিনজনের। ভিখারি বাবা ও দুই ছেলে। মাঝখানে বাবা ঘুমোন। দু’পাশে দুই ভাই। বৃষ্টির দিনে পাতলা ছাউনি গলে টুপ টাপ জল পড়ে। বাবা জেগে থাকেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫০২: ক্রিস্টোফার কলম্বাসের কোস্টারিকা আবিষ্কার
১৬২৬:  ডাচ অভিযাত্রী পিটার মিনিট ম্যানহাটন দ্বিপে প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে পা রাখেন, যেখানে আজকের নিউ ইয়র্ক শহর অবস্থিত
১৭৯৯: মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা টিপু সুলতানের মৃত্যু
১৮০০: কলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিধিবদ্ধ আইনে সম্মতি প্রদান করা হয়
১৮৪৯: বাঙালি নাট্যকার, সঙ্গীতস্রষ্টা, সম্পাদক ও চিত্রশিল্পী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৮৬: হে মার্কেট স্কোয়ার হিংসা: শিকাগো, ইলিনয় সহ বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে সচেষ্ট পুলিসকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ, ৮ জনের মৃত্যু, আহত ৬০, জনতাকে লক্ষ্য করে পুলিসের গুলি
১৮৮৯: সাহিত্যিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯০৪: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল নির্মাণ শুরু করে
১৯৪২: ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসানির্বাহী এবং নীতি সৃষ্টিকর্তা স্যাম পিত্রোদার জন্ম
১৯৫৩: ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি গ্রন্থের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পেলেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
১৯৫৯: প্রথম গ্র্যামি পুরস্কার দেওয়া হল
১৯৭২: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ এডয়ার্ড কেলভিন কেন্ডালের মৃত্যু
১৯৭৯: ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন মার্গারেট থ্যাচার



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৭ টাকা ৮৪.৩১ টাকা
পাউন্ড ১০৩.০১ টাকা ১০৬.৪৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০০ টাকা ৯১.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ মে ২০২৪। একাদশী ৩৮/৫৩ রাত্রি ৮/৩৯। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪২/৩৩ রাত্রি ১০/৭। সূর্যোদয় ৫/৬/৪, সূর্যাস্ত ৬/০/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/২৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৪ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে উদয়াবধি।
২১ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ মে ২০২৪। একাদশী সন্ধ্যা ৫/৫১। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/৪৬। সূর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/২। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে।
২৪ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে চার উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল বেঙ্গালুরু

11:00:29 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে চার ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন লিটল

10:45:30 PM

আইপিএল: ৪২ রানে আউট বিরাট কোহলি, বেঙ্গালুরু ১১৭/৬ (১০.৪ ওভার) টার্গেট ১৪৮

10:42:36 PM

আইপিএল: ১ রানে আউট গ্রিন, বেঙ্গালুরু ১১১/৫ (৯.৫ ওভার) টার্গেট ১৪৮

10:38:02 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, বেঙ্গালুরু ১০৭/৪ (৮ ওভার) টার্গেট ১৪৮

10:31:28 PM

আইপিএল: ২ রানে আউট রজত পাতিদার, বেঙ্গালুরু ১০৩/৩ (৭.৩ ওভার) টার্গেট ১৪৮

10:27:09 PM