ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
নবাবের জেলায় টানা তাপপ্রবাহ চলছে। তীব্র গরমে জেলাবাসীর হাঁসফাঁস অবস্থা। আকাশ থেকে যেন আগুন ঝরছে। বেশ কিছুদিন ধরে উষ্ণতার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরেই রয়েছে। ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠের ফসল। সেচ দিয়েও লাভ হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় চাষিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টির প্রার্থনায় বৃহস্পতিবার ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন ভগবানগোলার বেলিয়া শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দারা। ব্যাঙের বিয়ে উপলক্ষ্যে বিকেল থেকেই গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। কেউ ছাদনাতলা তৈরি করতে হাত লাগালেন, কেউ ছুটলেন বর-কনের মালা আনতে। আবার কেউ ছুটলেন বাজার করতে। নির্দিষ্ট লগ্নে বর ও কনেকে ছাদনাতলায় নিয়ে এসে হাজির করানো হল। ব্রাহ্মণের মন্ত্রপাঠ এবং গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে ব্যাঙের বিয়ে হয়। গ্রামবাসীদের আশা এবার অবশ্যই বৃষ্টি হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা কিসমত শেখ বলেন, এক ফোঁটা বৃষ্টি নেই। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর তাপমাত্রা। ফলে মাঠের ফসল মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে। আর কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই বৃষ্টির প্রার্থনায় ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়। অপর বাসিন্দা রওশন শেখ বলেন, চরম সঙ্কটজনক অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা চলেছি। গম, তিল, পাট এবং অন্যান্য সব্জির জমি ফেটে চৌচির। জমিতেই গাছ শুকাতে শুরু করেছে। শুনেছিলাম ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয়। তাই আমরাও বিয়ের আয়োজন করি। নবম শ্রেণির ছাত্র কাশেম শেখ জানায়, খবরের কাগজে ব্যাঙের বিয়ের খবর পড়েছিলাম। এবার নিজের চোখে দেখলাম। মনোজ মণ্ডল বলেন, বিয়ে উপলক্ষ্যে গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে ভোজের ব্যবস্থা করা হয়।