ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
মেডিক্যালের মা ও শিশু বিভাগের সামনে যক্ষ্মা পরীক্ষার বিল্ডিং রয়েছে। এই বিল্ডিংয়ে সিটি স্ক্যান, ডিজিট্যাল এক্স-রে বিভাগ রয়েছে। পাশেই শিশুদের এসএনসিইউ বিভাগ। এদিন সকালে রোগীর আত্মীয়রা দেখেন সিবি ন্যাটের রুমের দরজা, জানালার ফাঁক দিয়ে ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে। খবর পেয়ে দৌড়ে আসেন আধিকারিক থেকে কর্মীরা। তাঁরা দরজা খুলতেই দেখতে পান ভিতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। তাঁরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। ততক্ষণে অবশ্য পুড়ে গিয়েছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, সিবিন্যাট মেশিন, একটি কম্পিউটার সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে। বাকি বিভাগে কিছু হয়নি।
মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে এক-একটি কফ পরীক্ষায় এক থেকে দেড় দিন পর্যন্ত সময় লাগত। তাই রিপোর্ট পেতেও বেশ দেরি হতো। অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট নির্ভরযোগ্য হওয়া নিয়েও সংশয়ে থাকতেন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। কিন্তু সিবিন্যাট মেশিনে নির্ভরযোগ্য রিপোর্ট পেতে মাত্র দেড় মিনিট সময় লাগে। উল্লেখ্য, টিবি মুক্ত ভারত অভিযান শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মাকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করাই লক্ষ্য। সেজন্য নিক্ষয় মিত্র নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কিন্তু এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেই প্রকল্প অনেকটাই ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এমএসভিপি বলেন, এই ঘটনায় কফ পরীক্ষা ব্যাহত হবে। জেলায় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, সিবিন্যাট রুমের এসি মেশিন আগে থেকেই খারাপ ছিল। ফলে বন্ধ ছিল এসি। তাছাড়া সকালে বিভাগটাই বন্ধ ছিল। দরজা, জানালা, ফ্যান, লাইট সবই বন্ধ ছিল। তারপরও কীভাবে আগুন লাগল তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার কারণ জানতে পিডব্লুডির ইলেক্ট্রিক্যাল ও দমকল বিভাগে তদন্তের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।