ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের সোনাচূড়ায় আদি-নব্য সংঘাতে আদি শিবিরের দুই নেতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। জমি আন্দোলনের শহিদ ভরত মণ্ডলের কাকার ছেলে পলাশ মণ্ডল ২০০৭ সাল থেকে বিজেপি করেন। সোনাচূড়ায় যখন বিজেপির পতাকা তোলার লোক ছিলেন না, তখন পলাশের হাত ধরেই ওই এলাকায় গেরুয়া পতাকা উড়ত। এরজন্য তৃণমূলের লোকজনের হাতে বেধড়ক মারও খেতে হয়েছে। কিন্তু, দল ছাড়ার কথা ভাবেননি। গতবছর সোনাচূড়ায় তাঁর বুথ থেকে বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত শিউলিরানি দাস পাত্র এখন সোনাচূড়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। বুথ এবং অঞ্চলে বিজেপিকে জিতিয়েও প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না, পুরনো দিনের ওই বিজেপি নেতা। তাই জমি আন্দোলনের শহিদ পরিবারের ওই সদস্য ১মে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
লক্ষ্যা-১ অঞ্চল বিজেপির কনভেনার অমিতাভ মান্না বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আগে থেকেই যাঁদের যোগাযোগ ছিল, তাঁদের পতাকা ধরিয়েছে। এতে আমাদের পার্টিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। এই পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান আমাদের। লোকসভায় মার্জিন আরও বাড়বে।
পলাশ মণ্ডলের মতোই নন্দীগ্রামের আরও এক বিজেপি নেতা ভোটের মুখে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউদখালির সমীরণ দাস বিজেপির মণ্ডল কমিটির যুব মোর্চার সহ সভাপতি। তিনি ২০১৭ সাল থেকে বিজেপি করছেন। ২০২১ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় বিজেপি জেতার পর নব্যদের উৎপাত বাড়ে। কোণঠাসা হতে থাকেন পুরনো দিনের নেতা-কর্মীরা। এই অবস্থায় ২০২১ সালের পর থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান সমীরণ দাস। কিন্তু, তাতে বিপদ আরও বাড়ে। তাঁকে তৃণমূলের চর সন্দেহ করে বাড়ি চড়াও হয়ে নব্য বিজেপির লোকজন হেনস্তা করে। হাটেবাজারে যাওয়ার পথেও নিগ্রহ করা হয়। তারপরও মোদিভক্ত ওই নেতা মুখবুজে পার্টি করে গিয়েছেন। পঞ্চায়েতে নিজের বুথ থেকে দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়েছেন। কিন্তু, লোকসভা ভোটের মুখে হেনস্তা বাড়তে থাকায় দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো ১মে সোনাচূড়া তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়ে শাসক দলে যোগ দেন।
পলাশ মণ্ডল ও সমীরণ দাস বলেন, এখন সোনাচূড়ায় যাঁরা বিজেপি করছেন ২০২০সালেও তাঁরা তৃণমূল করতেন। তাঁদের হাতে মার খেয়ে বিজেপি করেছি। ভাগ্যের পরিহাস, গেরুয়া জার্সি পরে তাঁরাই এখন পুরনো দিনের বিজেপি কর্মীদের পেটাচ্ছে। এলাকার লোকজনের কাছ থেকে টাকা তুলছে। তৃণমূলে থাকাকালীন যেসব অন্যায় ও দুর্নীতি করেছেন বিজেপিতে এসে হুবুহু সেসব করছেন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পালকে জানানোর পরও কোনও কাজ হয়নি। তাই শেষমেশ দলত্যাগের সিদ্ধান্ত।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, দু’জনে বেশ কিছুদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে একটি বিষয়ে ঝামেলার পর তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।