বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
শহরের উদয়ন বিতানের বাসিন্দা ডাকঘরের গ্রাহক তপনকুমার রায় বলেন, সেভিং অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারছি না। তিন-চারদিন ঘুরেছি। কোনও দিনই লিঙ্ক থাকছে না। কবে স্বাভাবিক হবে নির্দিষ্ট করে কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে পারছেন না।
আলিপুরদুয়ার কোর্ট ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার তন্ময় ভদ্রের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আলিপুরদুয়ার কোর্ট ডাকঘরে কোচবিহার ডিভিশনের অধীনে কাজ হয়। ওই ডিভিশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রূপক সিংহ বলেন, কোর্ট ডাকঘরের ইন্টারনেট সংযোগকারী মোডেম কোনও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ওটা পাল্টে দেব। আশা করছি, দুই-তিনদিনের মধ্যেই সমস্যা মিটে যাবে।
লিঙ্কা না থাকার জন্য কাজ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের সঙ্গে ডাকঘরের কর্মীদের প্রায় দিনই বচসা হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য কোনও পদক্ষেপ করছে না। তাদের অবহেলার কারণেই একমাস ধরে কোর্ট ডাকঘরের কাউন্টারের সামনে লিঙ্ক ফেলিওর বোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোর্ট ডাকঘরে কর্মীর সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকায় যেকোনও কাজে গ্রাহকদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। এককথায় ডাকঘরে কাজ করতে এসে চরম নাজেহাল হতে হচ্ছে। গ্রাহকরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ে এনএসসি জমা করেও সেভিং অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে না। পেনশনের টাকার তোলার জন্য ডাকঘরে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। পাশবই দীর্ঘদিন ধরে আপডেট করা যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। যেকোনও দিন এই ক্ষোভ বড়সড় আকার ধারণ করতে পারে।
আলিপুরদুয়ার কোর্ট ডাকঘর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে ঝড়বৃষ্টির সময়ে বাজ পড়ে ইন্টারনেট সংযোগকারী মোডেম নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেজন্য সার্ভারের সঙ্গে লিঙ্ক নেই। ফলে অনলাইন সংক্রান্ত কাজগুলি এখন বন্ধ হয়ে রয়েছে। ডাকঘরে প্রবেশের দরজায় এবং কাউন্টারের সামনে লিঙ্ক ফেলিওর সংক্রান্ত বোর্ড লাগিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডাকঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে ইঞ্জিনিয়াররা এসেছিলেন। তাঁরা সমস্যা খতিয়ে দেখে যান। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে।