বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
অর্পিতাদেবী বলেন, আমন্ত্রণ পত্রে আমার নাম থাকা না থাকার কোনও বিষয় নেই। কে আমন্ত্রণ করল, কে আমন্ত্রণ করল না তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। দলের কর্মসূচি। দলনেত্রীর নির্দেশে সেই সভায় উপস্থিত থাকব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি ইয়াকুব আলি বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে একটি মিটিং হয়। সেখানে সভায় কাকে আমন্ত্রণ করা হবে, না হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতোই কাজ করা হয়েছে। এর থেকে বেশি মন্তব্য করব না।
দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ জানুয়ারি বালুরঘাটের থানা মোড়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের ডাকে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সভার উদ্বোধন করবেন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। সভায় উপস্থিত থাকবেন পুরমন্ত্রী তথা দলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি হাজি শেখ নরুল ইসলাম সহ আরও অনেকে। সভাকে কেন্দ্র করে জেলা সংখ্যালঘু সেলের প্যাডে জেলার তৃণমূল নেতা, নেত্রীদের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ করা হচ্ছে। আমন্ত্রণ পত্রে বিশেষ অতিথিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ, জেলার প্রথম সারি নেতা থেকে শুরু করে জেলা কমিটি সদস্যদের নাম বিশেষ অতিথিদের তালিকায় থাকলেও বাদ দেওয়া হয়েছে সংসদ সদস্য অর্পিতা ঘোষ ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর নাম। তাঁদের নাম বাদ যেতেই জেলার রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে থাকা একাধিক নেতা দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের অনুগামী হিসেবে দলে পরিচিত। তবে কি বিপ্লববাবুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে ধরে নিয়েই অর্পিতা দেবী ও শঙ্করবাবুর নাম বাদ দেওয়া হল? প্রশ্ন উঠেছে এনিয়েও। বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পত্রে নাম বাদ দেওয়াই শুধু নয়, সংগঠনের তরফে সংসদ সদস্য অর্পিতা ঘোষকে ওই সভায় আমন্ত্রণও করা হয়নি বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও সংখ্যালঘু সেলের নেতাদের দাবি, কমিটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই দুই নেতানেত্রীর নাম দেওয়া হয়নি। কার নির্দেশে সংখ্যালঘু সেল একাজ করল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এনিয়ে দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। দলে এ ওর অনুগামী, এ ওই গোষ্ঠী বলে কোনও বিষয় নেই।
উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে এবার বহিরাগত ও ভূমিপুত্রের দাবি নিয়ে দলের অন্দরে জোর আলোড়ন চলেছে। একপক্ষ বিপ্লববাবুর হয়ে তাঁকে ভূমিপুত্র হিসেবে এবার লোকসভায় প্রার্থী করার দাবিতে সরব হয়েছে। অন্যপক্ষ বর্তমান সংসদ সদস্য অর্পিতার হয়ে প্রচার শুরু করেছেন। তাঁরা অর্পিতাদেবীর আমলে জেলায় কী কী উন্নয়ন হয়েছে তার ফিরিস্তি তুলে ধরছেন।