বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার বলেন, এধরনের বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। এই রিহ্যাব সেন্টার বা নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেছি সরকারিভাবে এধরনের কেন্দ্রগুলিকে মনিটরিং করার কোনও ব্যবস্থা নেই। কোন দপ্তরের কাছে তাদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে তা কেউ পরিষ্কার করে বলতে পারছে না। কিন্তু যেভাবে গরিব মানুষ প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ করতে শুরু করেছে তাতে প্রশাসনিকভাবে এই কেন্দ্রগুলির উপর নিয়মিত নজরদারি করার সময় এসেছে। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে প্রস্তাব দেব পুরসভার তরফে এধরনের কেন্দ্রগুলি নিয়ে একটি মনিটরিং সেল করার জন্য। যেখানে গিয়ে মানুষ এসম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাবেন আবার অভিযোগ থাকলে জানাতেও পারবেন।
বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে বিরোধী দলনেতার ধারণা এই কেন্দ্রগুলিতে রিহ্যাবের নামে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাখা হচ্ছে। ঠিকমতো খাবারও দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, শহরের অনেক গরিব পরিবার তাদের সন্তানকে নেশার জগত থেকে সরিয়ে আনতে গিয়ে সম্পত্তিও বিক্রি করছে। দেখা উচিত এই সেন্টারগুলিতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা স্পেশালিস্ট ডাক্তার ও যোগ্য কাউন্সিলার রয়েছেন কিনা। ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় কিনা। সর্বোপরি সেন্টারগুলি বৈধভাবে চলছে কিনা। শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সিরাজ দানেশ্বরের কাছেও এধরনের খবর রয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আমার কাছে খবর এসেছে শিলিগুড়িতে এধরনের নেশামুক্তি কেন্দ্র খুলে কেউ কেউ অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করছে। এটা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিকের অধীনে থাকলেও অবৈধভাবে এধরনের কেন্দ্র কোথায় কোথায় চলছে তা নিয়ে আমি খোঁজ খবর শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও পরিকাঠামো ছাড়াই এরকম বেশকিছু কেন্দ্র চলছে বলে শুনেছি। নেশাগ্রস্ত সন্তানকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে গিয়ে এধরনের প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে অনেক গরিব বাবা-মা সর্বস্ব হারাচ্ছেন। নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযোগ পেলে এই প্রতারণা বন্ধ করার কাজ দ্রুত ও সহজ হতো। দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য এব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টের আওতায় থাকলে সেই সেন্টারের উপর স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারি থাকবে। শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় এধরনের কতগুলি কেন্দ্র রয়েছে তা ফাইল দেখে বলতে হবে। আমি এখন বাইরে রয়েছি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এধরনের রিহ্যাব সেন্টারগুলি সোসাইটি অ্যাক্টে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে নেশামুক্তিকরণের কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা বিজ্ঞাপনও দেয়। পুরোপুরি নেশামুক্ত করে স্বাভাবিক জীবনে ফোরনোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এই কেন্দ্রগুলি। শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার খরচ বাবদ মাসে ৪০০০ থেকে ১০ হাজার টাকাও নেওয়া হচ্ছে।