বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এশিয়ান হাইওয়ে-২ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টরের নির্মল মণ্ডল বলেন, কেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যায়নি তার রিপোর্ট আমাদের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। একাধিক কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মহাসড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করা যায়নি। প্রতিটি মুহূর্তের রিপোর্ট আমরা পাঠাচ্ছি। তিনি দাবি করেন, সময়সীমা ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। আগামী ২১ মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জমি অধিগ্রহণ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নানা সময়ে কাজ পিছিয়ে। পরবর্তীতে বালি, পাথর ও বিটুমিন না পাওয়া সংক্রান্ত নানা কারণে দীর্ঘ সময় প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। এরপর স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণেও কাজ পিছিয়েছে। এরপর ধর্মঘটের কারণেও নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকবার। যার ফলে টাগের্ট থেকে বার বার পিছিয়ে গিয়েছে নির্মাণ কাজ।
শিলিগুড়ি ঘেঁষে চলে যাওয়া মহাসড়কটির কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে ইরান মাঝে ১০টি দেশকে জুড়বে এই মহাসড়কটি। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে পড়েছে ৩৭.২৭ কিলোমিটার পথ। তবে এই পথের বেশিরভাগটাই চার লেনের (৪ লেন)। আবার কোথাও ছয় লেন (৬ লেন)। আবার কোথাও একমুখীও করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কি থেকে শিলিগুড়ি ছুঁয়ে এই রাস্তাটি মিশেছে বাংলাদেশ সীমান্তের ফুলবাড়িতে। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের অর্থানুকূল্যে মহাসড়কটি কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকে অধীনে তৈরি হচ্ছে। এই রাজ্যে কাজ করছে পূর্ত দপ্তর। এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে রাস্তার কাজের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। পরে বাড়তি জমি অধিগ্রহণ, অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ মেটানো, একাধিক সার্ভিস রোড তৈরি, ফ্লাইওভারের একাধিক সাইড প্ল্যান, একাধিক আন্ডারপাস তৈরি জন্য কেন্দ্রর কাছে আরও অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হয়। শেষে বর্তমানে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়ায় ৭০৮ কোটি টাকা। পবর্তীতে বাগডোগরায় প্রধান ফ্লাইওভার একটি সংযোগকারী রাস্তা সহ কিছু জায়গায় বাড়তি কাজের জন্য আরও কিছু বরাদ্দ নিয়ে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৭২৯ কোটি টাকা।