বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
গত বুধবার কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন ১০ বিধায়ক। ফলে ৪০ আসন সংখ্যার গোয়া বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৭। যা ম্যাজিক ফিগার ২১-এর থেকে ৬ বেশি। আর তারপরেই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন জিএফপির তিন এবং একজন নির্দল বিধায়ক। তাঁরা হলেন, গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সারদেশাই, জলসম্পদমন্ত্রী বিনোদ পালিয়েকার, গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়েশ সালগাঁওকার এবং রাজস্বমন্ত্রী রোহন খায়ুন্তে। এছাড়া ডেপুটি স্পিকারের পদ থেকে ইস্তফা দেন মিচেল লোবো।
এরপরেই মন্ত্রী করা হয় সদ্য কংগ্রেসত্যাগী চন্দ্রকান্ত কাভেলকার, জেনিফার মনসেরাট, ফিলিপ নেরি রডরিগস এবং প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার লোবো। পানাজির বিধায়ক অ্যাটানাসিও মনসেরাটকে বিজেপি মন্ত্রী করতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। পরিবর্তে স্ত্রী জেনিফারকে মন্ত্রী করতে বলেন অ্যাটানাসিও। এদিকে, দল ভাঙিয়ে তাঁদের বিধায়কদের মন্ত্রী করায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। এতে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্করের ‘ঐতিহ্য’ শেষ হয়ে গেল বলে জানিয়েছেন বিজয় সারদেশাই। তাঁর কথায়, ‘পারিক্করের দু’বার প্রয়াণ হল। গত ১৭ মার্চ শারীরিকভাবে প্রাণ ত্যাগ করেছেন তিনি। আর আজ মৃত্যু হল তাঁর রাজনৈতিক ঐতিহ্যের।’
সেইসঙ্গে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর থেকে জিএফপি সমর্থন প্রত্যাহার করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সরদেশাই আরও বলেছেন, ‘প্রমোদ সাওয়ান্তকে আমরা সমর্থন করেছিলাম। কারণ পারিক্করকে আমি কথা দিয়েছিলাম, যেকোনও পরিস্থিতিতে সরকারের উপর জিএফপির সমর্থন থাকবে। এখন মনে হচ্ছে, এনডিএ আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করল।’ যদিও, জিএফপির প্রতারণার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত। তাঁর কথায়, ‘আমরা কাউকে ঠকাইনি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশমতো আমরা সিদ্ধান্ত গ্রণ করেছি।’