বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
২০১৩ সালে ত্রিপুরার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামেরা জেলা পরিষদের ১১৬টি আসনের মধ্যে ১১৫টিতে জিতেছিল। ৫৯১টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৩৫টি পঞ্চায়েত সমিতির সবকটি দখল করেছিল বামফ্রন্ট।
ইতিমধ্যেই এই ভোট নিয়ে সিপিএম অভিযোগ তুলে বলেছে, শাসকদল বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। সিপিএম পলিটব্যুরো কড়া বিবৃতি দিয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, বিজেপি লাগামছাড়া সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র পেশ করতে গেলেও ব্লক অফিসের বাইরে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে সিপিএম মাত্র ৩০৬টি ও পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪১৯টির মধ্যে মাত্র ৫৬টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। এই দুটি স্তরে সিপিএমের তুলনায় কংগ্রেস কিছু বেশি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। শুধু জেলা পরিষদ পর্যায়ে সিপিএম ৬৭টি এবং কংগ্রেস ৬৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস কয়েক বছর আগে ত্রিপুরায় ভালো সংগঠন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী দিলেও আশানুরূপ ভোট পায়নি। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিনহা জানিয়েছেন, এবার পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা একটি আসনেও প্রার্থী দেননি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলের ২২০ জন জিতেছিলেন। আশিসবাবুর কথায়, বিজেপির সন্ত্রাসের কারণেই আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি। তার মধ্যেও কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন চেয়েছিলাম। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি।
বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, আসলে সিপিএম প্রার্থী করার মতো লোকই পায়নি। এখন নিজেদের মুখ বাঁচাতে বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, কোনও প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি, এমন ছবি থাকলে সিপিএম দেখাক। মনোয়নন পত্র জমা দেওয়ার ব্যাপারে সব দলকে সবরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। এমনকী বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল, বিরোধীরা প্রার্থী হতে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়লে, তারা সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। স্থানীয় নেতৃত্বদের এব্যাপারে নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সিপিএম সহ বিরোধীরা অধিকাংশ আসনেই প্রার্থী দিতে না পারায় বরং বিজেপিরই সমস্যা হল বলে তাঁর দাবি। গ্রামীণ এলাকায় নিজেদের শক্তি যাচাইয়ের কোনও সুযোগ এই পঞ্চায়েত ভোটে পেল না বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তাঁদের প্রার্থীরা অধিকাংশই তরুণ। অনেক উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীও আছেন। সিপিএম যে কটি আসনে লড়ছে, সেই প্রার্থীদের বেশিরভাগই প্রবীণ। আর তৃণমূলের তো ত্রিপুরায় কোনও লোকই নেই। তারা কীভাবে প্রার্থী দেবে?