বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
কিন্তু কেন একমাস পরে ইস্তফার বিষয়টি সামনে আনলেন সিধু? গত মাসের প্রথম সপ্তাহে পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভার ব্যাপক রদবদল করেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তখনই সিধুর হাত থেকে তাঁর পছন্দের পর্যটন ও সংস্কৃতি দপ্তর কেড়ে নেন তিনি। পরিবর্তে তাঁকে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি দপ্তরের দায়িত্ব। তাতেই বেজায় চটে গিয়েছিলেন সিধু। দপ্তরের দায়িত্বভারও গ্রহণ করেননি তিনি। তাই মন্ত্রিসভার রদবদলের ক’দিন পরেই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর কাছে। এদিন যে ইস্তফাপত্রটি তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, তাতে তারিখ রয়েছে ১০ জুন। টানা এক মাসের বেশি ইস্তফার বিষয়টি চেপে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাদ মেটানোর একটা রাস্তা খুঁজছিল দল। মধ্যস্থতার দায়িত্ব পেয়েছিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা আহমেদ প্যাটেল। দিল্লিতে প্যাটেলের পাশাপাশি রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেও বেশ কয়েকবার বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে সিধুকে। সম্মানজনক মিটমাটের প্রত্যাশায় ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত পাঞ্জাবের দুই নেতার দ্বন্দ্ব মেটানোর কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় ইস্তফার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন সিধু। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পাঞ্জাবে বিধানসভার ভোট ছিল ২০১৭ সালে। তার ঠিক আগেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন সিধু। পূর্ব অমৃতসর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করে দল। বিধায়ক হয়ে অমরিন্দর সিংয়ের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের। কিন্তু তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কিছুতেই বনিবনা হচ্ছিল না। প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন। পাকিস্তানে গিয়ে সে দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সিধুর আলিঙ্গনের বিষয়টিও ভালো চোখে দেখেননি অমরিন্দর। বিরোধীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিধুর সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি লোকসভা ভোটে পাঞ্জাবে দলের আশানুরূপ ফল না হওয়ায় সিধুকে দুষতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে শহরতলির ভোটব্যাঙ্ক হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার জন্য সিধুকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন অমরিন্দর। প্রকাশ্যেই তিনি বলেছিলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন সিধু। উন্নয়নের কাজে সদর্থক ছিলেন না তিনি।’ প্রাক্তন ক্রিকেটারও তার পাল্টা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ সরকারের মধ্যে নেই।’ বস্তুত, লোকসভা ভোটের খারাপ ফলাফলকে সামনে রেখেই মন্ত্রিসভার রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অমরিন্দর। সেই রদবদলের তালিকায় একেবারে প্রথমের সারিতে ছিলেন সিধু। তখন থেকেই দু’জনের মধ্যে সঙ্ঘাত চরম আকার নেয় বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। এদিন অমরিন্দের মন্ত্রিসভার সঙ্গে সখ্য ত্যাগ করার বিষয়টি সামনে এনে সেই সঙ্ঘাতের যতিচিহ্ন টানলেন সিধু।