বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
৮০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে আধাসেনার কনভয়ে হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল। তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে মার্কিন সেনার যুদ্ধে আইডি বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত গাজি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মাসুদের দুই ভাইপোর হত্যার প্রতিশোধ নিতেই গত ৯ ডিসেম্বরে উপত্যকায় প্রবেশ করে সে। সেখান থেকে পাবলিক পরিবহণ ব্যবহার ও হেঁটে পুলওয়ামায় পৌঁছয় গাজি। সেখানেই আদিলকে বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেয় সে। মাত্র এক বছর আগে জয়েশে যোগ দেওয়া আদিল এই গাজির জন্যই পুলওয়ামায় অপেক্ষারত ছিল। আর বড় বিস্ফোরণের পরিকল্পনার জন্যই বন্দুকহাতে দেখা যায়নি আদিলকে। পুলিসের খাতায় ‘টাইপ-সি’ জঙ্গি পরিচয় ছিল তার। এছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অনুপ্রণিত হয়েছিল আদিল। বিষয়টিকে নিজেদের জয় হিসেবে তুলে ধরেছিল সে।
‘আজাদ কাশ্মীর’-এর লক্ষে আদিল এতটাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল যে নাশকতার আগে শেষ ভিডিওতে তার বার্তা ছিল ‘কখনও প্রেমে পড়বেন না’। পরিবার, বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনদের সে বলেছিল, আমার মৃত্যুতে ইসলামের নামে আপনারা উৎসবে মাতবেন। পাশাপাশি, কাশ্মীরিদের প্রতি আদিলের বার্তা ছিল, সেনাবাহিনী আপনাদের কখনই লড়াইয়ে জয়ী হতে দেবে না। ইসলামের অপব্যাখ্যা করে আপনাদের ভুল পথে চালিত করবে ওরা। পার্থিব সুখের কথা বলে বিপথে চালনা করবে।
স্থানীয় পুলিস সূত্রের দাবি, আদিল আহমেদ দার পুলওয়ামার গুন্ডিবাগের বাসিন্দা। তৌফিক ও ওয়াসিম নামে দুই বন্ধুর সঙ্গে সে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ নিখোঁজ হয়ে যায়। তৌফিকের দাদা মঞ্জুর আহমেদ দার জঙ্গি ছিল। ২০১৬ সালে সে মারা পড়ে। স্কুলছুট আদিল রাজমিস্ত্রির কাজ করত। একটি ভিডিও টেপে উত্তর কাশ্মীরের প্রতি বার্তা দিয়েছিল সে। ওই ভিডিওয় আদিলকে বলতে শোনা যায়, ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে দক্ষিণ কাশ্মীরের মানুষ।
অন্যদিকে, আদিলের মৃত্যুর পর বাবা গুলাম দার জানিয়েছেন, ছেলের জঙ্গি কার্যকলাপের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তিনি। বিস্ফোরণের পর পুলিসের থেকে সে ব্যাপারে জেনেছেন গুলাম। এক সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে শুধু তিনি বলেছেন, ‘দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় বসার কথা ছিল আদিলের। ও জম্মু গিয়েছিল। কিন্তু, আর ফিরে আসেনি।’