বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
গতকাল রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রাতে শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব থ্যাকারের ‘মাতশ্রী’ বাড়িতে দু’পক্ষের বৈঠক বসে। সেখানে ফড়নবিশ ছাড়াও ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজস্বমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাতিল। সূত্রের খবর, উভয়পক্ষের মধ্যে ৩০ মিনিট আলোচনা হয়েছে। মূলত আসন ভাগাভাগি নিয়ে দু’পক্ষের কথাবার্তা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ফড়নবিশ বলেছেন, আমরা উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আরও কিছুটা সময় কথাবার্তা হতো। কিন্তু কাশ্মীরে পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আলোচনার সময়সীমা কাঁটছাঁট করতে হয়েছে।
বিজেপির সবচেয়ে পুরোনো শরিক শিবসেনা। রাজ্যেও বিজেপির অন্যতম জোটসঙ্গী তারা। কিন্তু বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দলের ঠোকাঠুকি রাজনৈতিক মহলে সুবিদিত। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি শিবসেনা নেতৃত্ব। তবে এবার ভোটকে সামনে রেখে শরিকি কোন্দল মেটাতে দু’পক্ষই তৎপর হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
শিয়রে লোকসভা ভোট। তার ঠিক ছ’মাস বাদেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। এই পিঠোপিঠি ভোটই কাছাকাছি এনে দিয়েছে বিবদমান দুই শরিক দলকে। তবে আসন সমঝোতা নিয়ে দু’দলের স্নায়ুর লড়াই কোন দিকে এগবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, বিধানসভা ভোটে আসন ভাগাভাগি ও কুর্সি দখলে শিবসেনার ‘ফিফটি ফিফটি’ ফর্মুলা বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। শিবসেনার প্রস্তাব, বিধানসভার মোট আসনের ৫০ শতাংশ আসনে তাদের প্রার্থী লড়াই করবে। ৫০ শতাংশ আসনে বিজেপি। ভোটে জিতে এলে পাঁচ বছরের শাসনকালে প্রথমার্ধে তাদের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন আড়াই বছর। বাকি আড়াই বছর কুর্সির ভার ছেড়ে দেওয়া হবে বিজেপিকে। বৃহস্পতিবারের আলোচনায় শিবসেনার এই ফর্মুলা নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে বিজেপি এই ফর্মুলা মানবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা এদিন বলেছেন, এটি ছিল শিবসেনার সঙ্গে প্রথম পর্বের আলোচনা। তাদের প্রস্তাবের বিষয়টি দলের হাইকমান্ডকে জানানো হবে। পরবর্তীতে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এখনই এ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে এটা ঠিক, নির্বাচনকে ঘিরে জোটের প্রয়োজনীয়তা দু’দলের কাছেই সমান প্রাসঙ্গিক।