বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
এরপরই গত বছর ৩১ অক্টোবর আর এক ভাইপো উসমানকে হত্যা করে ভারতীয় সেনা। জানা যায় উসমান ছিল স্নাইপার স্পেশালিষ্ট। সে একের পর এক স্নাইপার হামলায় একাধিক নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানকে হত্যা করেছিল। সেও যখন নিহত হয় ভারতীয় সেনার হাতে তখনই বড়সড় প্রতিশোধ নেওয়ার ছক কষে মাসুদ আজহার। মাসুদ আজহার রিক্রুট করে আবদুল রশিদ গাজি নামের এক দুর্ধর্ষ ঠাণ্ডা মাথার জঙ্গি প্রশিক্ষককে। গাজি আফগানিস্তানের তেহরিক ই তালিবানের গ্রুপেও একসময় কাজ করেছে। আফগান যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল একসময়। তার সবথেকে বড় পরিচয় হল সে তুখোড় বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। বাহাওয়ালপুরে নিয়ে এসে তাকে গোটা প্ল্যানটা বলা হয়। এবং সবথেকে বড় প্ল্যানের জন্য পুলওয়ামা জেলা থেকে স্থানীয় কাশ্মীরি যুবক রিক্রুট করতে বলা হয়। এই কাজে হিজবুল মুজাহিদিন কমাণ্ডার সৈয়দ সালাউদ্দিন তাকে সহায়তা করবে বলে জানানো হয়। রশিদ গাজি গত বছরের ৯ ডিসেম্বর পুলওয়ামায় ঢুকে পড়ে বলে জানা যায়। এবং সেখানেই সে রিক্রুট করে কয়েকজনকে। পাশাপাশি আরও ১৪ জন জঙ্গি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ঢুকে চলে আসে। ১৯ বছরের আদিল আহমেদ দারকে স্থানীয় লস্কর স্লিপার সেলই যোগ দেওয়ায় জয়েশ সংগঠনে। বস্তুত বিগত কয়েক বছরে লস্কর কমাণ্ডার হাফিজ সঈদকে আমেরিকা কোণঠাসা করেছে। পাকিস্তানকেও আমেরিকা কড়া হুমকি দিয়েছে লস্কর ও হাফিজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কড়া ব্যবস্থার মুখে পড়তে হবে। এরপরই হাফিজ ও লস্কর সামান্য ব্যাকফুটে চলে যায়। এবং আবার জয়েশ-ই-মহম্মদের গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে। পাঠানকোট, উরি, পুলওয়ামা..একের পর এক সেনা ও আধাসেনা জওয়ানদের কনভয় কিংবা শিবিরে জয়েশ জঙ্গিরা হামলা করে গিয়েছে। গাড়িতে বিস্ফোরক ভর্তি করে আত্মঘাতী জঙ্গিদের দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোই জয়েশ ই মহম্মদের মোডাস অপারেণ্ডি। তাদের যে কোনও অপারেশনে এটাই দস্তুর।
পুলওয়ামার জঙ্গিদেরও তিনবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল রশিদ গাজি। এরপর বর্ডার ট্রেড রোড ধরে একটি মারুতি ইকোর মধ্যে ৬০ কেজি আরডিএক্স নিয়ে আসা হয়েছিল। মুজফফরাবাদের চিকোটি থেকে ওই রোড ধরে সালামাবাদের কাছে নিয়ে আসা হয় আরডিএক্স। সেই বিপুল আরডিএক্স ব্যবহৃত হয় গতকাল। সুতরাং আপাতত চিরুনি তল্লাশি চলছে। এখনও কী কাশ্মীরে রয়েছে রশিদ গাজি? নাকি সীমান্ত পেরিয়ে গিয়েছে আগেই?