গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে আসার পর এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন কেজরিওয়াল। সেখানে তাঁর অভিযোগ, বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের সরকার দিল্লির আপ সরকারের কাজকর্মে বাধার সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি মানুষের কাছে তাঁর আবেদন, দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনেই আপের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনুন। যাতে দিল্লির জন্য পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা আদায়ে আপের হাত শক্ত হয়। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সংবিধান ও গণতন্ত্রের বিরোধী। আইনি প্রতিবিধানের মাধ্যমেই আমাদের পরবর্তী লড়াই চলবে। দিল্লির মানুষ আমাদের ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬০টিতে জিতিয়ে এনেছিলেন। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত এই সরকারের হাতে অফিসারদের বদলি করার ক্ষমতাটুকু নেই। কিন্তু যাদের হাতে মাত্র তিনজন বিধায়ক রয়েছে (বিজেপি), তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। আমরা যদি অদক্ষ অফিসারদের বদলি করতে পর্যন্ত না পারি, তাহলে কীভাবে সরকার কাজ করবে? এর সমাধানের রাস্তা দিল্লির মানুষের হাতে রয়েছে। দিল্লিবাসীর কাছে আমার আবেদন, লোকসভা ভোটকে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী বাছার নির্বাচন বলে বিবেচনা করবেন না। দয়া করে দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনেই আপকে জিতিয়ে আনুন। কেন্দ্রের সরকারের উপর আমরা চাপ তৈরি কবর। যাতে দিল্লির জন্য পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা আদায় করা সম্ভব হয়। কেজরিওয়ালের দাবি, আদালতের এই রায় বলছে, অফিসারদের বদলির ক্ষমতা দিল্লির নির্বাচিত সরকারের হাতে নেই। তাহলে আপ সরকার কাজ করবে কীভাবে। এমনকী একজন পিওন নিয়োগ করার ক্ষমতা পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নেই। গত চার বছর ধরে আমদের ভুগতে হচ্ছে। এটা কী ধরনের গণতন্ত্র?
কেজরিওয়াল হতাশ হলেও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে এদিন স্বাগত জানিয়েছে দিল্লি বিজেপি। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বীজেন্দ্র গুপ্ত বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে দিল্লি সরকারের ক্ষমতা সংক্রান্ত অস্পষ্টতা দূর হল। আমরা এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। এই রায়ের ফলে আর কোনও ধন্দ বা সংঘাত থাকবে না। দিল্লির সরকারের উচিত বিনয়ের সঙ্গে এই রায়কে মেনে নেওয়া।